বঙ্গবন্ধু ১৭ আগস্ট দিনাজপুরে জনসভা ও সফর শেষ করে রাত ১০টায় বগুড়ার উদ্দ্যেশে রওনা দেন। তিনি পরের দিস ১৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় দলবল নিয়ে বগুড়া এসে পৌঁছান। স্টেশনে তাদের স্বাগত জানান বগুড়ার আওয়ামী মুসলীম লীগের কর্মী, নেতৃবৃন্দ। বগুড়ার আওয়ামী মুসলীম লীগের কর্মী-নেতা আলীমুদ্দিন মুক্তিয়ারে বাড়িতে তারা ওঠেন। বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে তারা এ্যডওয়ার্ড পার্কে একটি সভা ডাকেন। সভার সভাপতি ছিলেন আলীমুদ্দিন মুক্তিয়ার। আনুমানিক পাঁচ হাজার মানুষ সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেদিনের সভায় শেখ মুজিবুর রহমান বিশেষ করে শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘নেতারা ওয়াদা করেছিলেন বিনা বেতনে প্রাথমিক শিক্ষার। কিন্তু কোথাও এর নজির দেখলাম না। শিক্ষকের অভাবে মাধ্যমিক শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জননিরাপত্তা আইনের আওতায় ভালো ভালো অধ্যাপকদের আটক করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গরিব ছাত্রদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্যাক্সের বোঝা আর ধনী লোকদের ছেলেমেয়েদের দেওয়া হয়েছে নানান সুবিধা। মন্ত্রী ও বড় অফিসারদের ছেলেমেয়েদের জন্য ৭ লাখ রুপি ব্যয়ে স্কুল নির্মিত হয়েছে’ (গোয়েন্দা প্রতিবেদন, ভলিউম-২, পৃষ্ঠা-৩২৫)। এখানেও তিনি পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং ভবিষ্যৎ কার্যবিবরণী ঠিক করে দেন। সভা থেকে ফিরে শেখ মুজিবুর রহমান রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঘরে বসে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিটিং করেন। তখন সেখানে ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন।