সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ অক্টোবর ২০২১
চট্টগ্রামের দামপাড়ায় জহুর আহমেদ চৌধুরীর বাড়িতে বঙ্গবন্ধু
বঙ্গবন্ধুর আমৃত্যু রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জহুর আহমেদ চৌধুরী ১৯৭৪ সালে ৪ জুন নিও ব্রংকাইটিস রোগে আক্রান্ত হলে জহুর আহমেদ চৌধুরীকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২৮ জুন বঙ্গবন্ধু তাকে দেখতে হাসপাতালে গমন করেন। ৩০ জুন সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জহুর আহমেদ চৌধুরীর শেষ দেখা হয়। ১৯৭৪ সালের ১ জুলাই সকাল ৬-৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সেদিন দুপুর ২:৩০টা জহুর আহমেদ চৌধুরীর মৃতদেহ বিমানযোগে চট্টগ্রামে আনা হয়। ২ জুলাই সকাল ১০-৩০টা বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় এবং দুপুর ১২টা দামপাড়ায় তার বাসভবন সংলগ্ন পারিপারিক কবরস্থানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ও সামরিক মর্যাদায় তার মরদেহ সমাহিত করা হয়।
জহুর আহমদ চৌধুরীর জীবনের সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। একাত্তর সালের ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাত) বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর ট্টগ্রামে জহুর আহমদ চৌধুরীর কাছে পাঠিয়ে ছিলেন দেশে-বিদেশে প্রচারের জন্য। পরবর্তীকালে চট্টগৃামে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা প্রচার করা হয়। মুক্তিযদ্ধে আগরতলায় অবস্থান নিয়ে জহুর আহেমেদ চৌধুরী মুজিব নগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে গোটা দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই তিনি আগরতলায় গিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের সংবাদ বিশ্ববাসীর কছে পৌঁছে দেন। তিনিই প্রথম ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
তথ্যসূত্র: উইকেপিড়িয়া।