১৯৬৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ঐতিহাসিক লালদিঘি মাঠে বাঙালির মুক্তিসনদ ৬ দফা কর্মসূচির বিস্তারিত আনুষ্ঠানিক জনসভার মাধ্যমে ঘোষণা করেন বঙ্গশার্দুল শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু হিসেবে উপাধি পাওয়ার আগে চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীরা তাঁকে ‘বঙ্গশার্দুল’ উপাধিতে ভূষিত করেন। লালদিঘির সভায় সেদিন (২৫ ফেব্রুয়ারি) সভাপতিত্ব করেন তৎকালীন সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম কণ্ডারি জহুর আহমদ চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন অকুতোভয় সংগঠক এম এ আজিজ। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খন্দকার মোশতাক আহমদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী প্রমুখ। কক্সবাজার থেকে আফসার কামাল চৌধুরী, একেএম মোজাম্মেল, ওসমান সরওয়ার চৌধুরী ও নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে এবং ফেনী থেকে খাজা আহমদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন।
এর আগে ওইদিন সকালে উল্কাযোগে চট্টগ্রামের বটতলী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছেন বঙ্গবন্ধু। সেখানে সংবর্ধনা শেষে তাঁকে স্টেশন রোডে অবস্থিত সড়ক ও জনপথ বিভাগের মালিকানাধীন রেস্ট হাউসে নিয়ে আসেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের দুই অদম্য কর্মী ইদরিস আলম ও শাহ বদিউল আলম। ১৯৫৮ সালে ওই রেস্ট হাউসের ২৩ নম্বর কক্ষটি ভাড়ায় নেন এবং পরবর্তী সময়ে সেটিকে সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করে সেখান থেকে রাজনৈতিক তৎপরতা পরিচালনা করতেন জহুর আহমদ চৌধুরী। ওই রেস্ট হাউস পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন না থাকা এবং টেলিফোন সংযোগ না থাকায় ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে সদরঘাটে হোটেল শাহজাহানে অবস্থান করেন বঙ্গবন্ধু।