বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালে এবং ১৯৭২ সালে রাজশাহী গিয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা-কে পাকিস্তানী সেনা সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে। সেই ঘটনার জন্যই তিনি সেদিন স্বদলবলে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে যান । তিনি নাটোরের কানাইখালীতে ঢাকা রোড সংলগ্ন সাবেক এম.পি.এ. কাঁচু উদ্দিন মোক্তার-এর বাসা থেকে আউস চালের খিচুঁড়ি এবং ডিমভাজি খেয়ে রাজশাহী গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৯ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. শামসুজ্জোহা স্মৃতিতে স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তরের স্থাপন করেন। ১০ মে রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসা মাঠে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন। সেই মাঠে বঙ্গবন্ধু’কে দেখার জন্য, তাঁর কথা শোনার জন্য লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম হয়েছিল।তিনি সেখানে সমাজতন্ত্র অনুযায়ী দেশ চালানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
তারপর বঙ্গবন্ধু রাজশাহী পুলিশ একাডেমিতে পুলিশ সমাবর্তনে ভাষণ দেন। তিনি পুলিশের প্রতি নিস্বার্থভাবে জনগনণর সেবা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তারপর পুলিশ একাডেমীতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। ঐদিন রাতে তিনি সার্কিট হাউজে থাকেন। পরবর্তী দিন হেলিকপ্টারে করে পাবনার উদ্দেশে রওনা দেন।