ক. ধর্মীয়ঃ
১. জগন্নাথ মন্দিরঃ
তৎকালের জগন্নাথ সেনের স্মৃতি রক্ষার্থে কালী মূর্তি ও মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মূর্তির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ঠ্য হলো যে, এর চোখ দুটির প্রকোষ্টে অলৌকিক পাথর রয়েছে, যা অন্ধকারেও আলো বিকরণ করে।
২. সোনাপুর ক্যাথলিক মিশনঃ
সোনাপুর ক্যাথলিক মিশন মাইজদিতে অবস্থিত। দুধারে বিস্তীর্ন সুপারী গাছ এর মাঝখানে পাকা রাস্তা ও লালবর্ণের রাস্তা বেশ উল্লেখযোগ্য। গির্জার সামনে রয়েছে একটি মনোরম বাগান আর গির্জার একপার্শ্বে রয়েছে একটি বিরাট আকৃতির ঘন্টা। পাড়ে রয়েছে দুটি মাঝারি সাইজের পুকুর।
চাটখিলঃ
ক. ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও স্থাপত্য নিদর্শনঃ
১. গান্ধী আশ্রামঃ
নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী শহর থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে এবং ৩ কিমি পূর্বে জয়াগ নামক গ্রামে গান্ধী আশ্রামটি অবস্থিত। বৃট্রিশ শাসন এর শেষ পর্যায়ে ১৯৪৬-৪৭ সালে মহাত্মাগান্ধীর এই অঞ্চলে আগমনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গান্ধী আশ্রম ট্রাষ্ট। এই আশ্রমে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অসহায় নারী পুরুষ আশ্রয় পেয়ে থাকে। আশ্রমে ঢোকার পূর্বেই চোখে পড়বে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য করজোড়ে সবাইকে অভিবাদন জানানোর দৃশ্য। এখানে মহাত্মা গান্ধীর ব্যবহৃত সুতা কাটার চরকা ও অন্যান্য দ্রব্যাদি সংরক্ষিত আছে।
বেগমগঞ্জঃ
ক. ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও স্থাপত্য নিদর্শনঃ
১. রাম ঠাকুরের আশ্রমঃ
অনেক আলোকিত কীর্তির মহা-পুরুষ শ্রী রাম ঠাকুরের সমাধি আশ্রম চৌমুহনীর ঐতিহ্যকে ধারণ করে আছে। এ আশ্রমের প্রধান আকর্ষন হলো বিশাল আকারের তৈরী একটি পঞ্চরত্ন মন্দির, রামমন্দির ও রাম ঠাকুরের সমাধি। ঠাকুরের সমাধি স্থলে সু-ঊচ্চ বিশাল মন্দিরের উপরিভাগে একটি বড় গম্বুজ ও তার চারপাশে ছোট আকৃতির চারটি গম্বুজ রয়েছে।
খ. ধর্মীয়ঃ
১. বজরাশাহী মসজিদঃ
নোয়াখালীর তাজমহল নামে খ্যাত ও দিল্লীর মোঘল স্থাপত্যের অনুরূপ তিনগম্বুজ বজরাশাহী মসজিদ ১৭৪১ খৃষ্টাব্দ আমান উল্লাহ নামক জনৈক ব্যক্তি কর্তৃক নির্মিত। একটি অনুচ্চ ভিত্তি বেদীর উপরে আয়তকারে নির্মিত এ মসজিদ উত্তর দক্ষিণে লম্বা মসজিদের চারকোনে আছে ৪টি মিনার বা টরেন্ট এবং ভিতরে পশ্চিম দেয়ালে তিনটি অলংকৃত মিহরাব।
গ. বিনোদনমূলকঃ
১. শ্রী রাম ঠাকুরের মেলাঃ
প্রতিবছর বৈশাখ মাসের অক্ষয় তৃতীয়া তিথীতে ৩ দিন ব্যাপী রাম ঠাকুরের উৎসবে দেশ বিদেশের হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পদচারণায় চৌমুহনী শহর মুখরিত হয়ে ওঠে।
ঘ. প্রাকৃতিকঃ
১. বজরাশাহী মসজিদ সংলগ্ন দীঘিঃ
ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ও তৎসংলগ্ন বিশালাকার দিঘীকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠতে পারে একটি পর্যটন কেন্দ্র।
হাতিয়াঃ
ক. প্রাকৃতিকঃ
১. নিঝুম দ্বীপঃ
৪০ বর্গমাইল আয়তনাবশিষ্ট প্রকৃতির এক অদ্ভুত সৌন্দয়ের লীলাভূমি নিঝুম দ্বীপ, বঙ্গোপসাগরের বুকে নোয়াখালী জেলার অন্যতম থানা দ্বীপ হাতিয়া থেকে প্রায় ৬০ মাইল দক্ষিনে মেঘনা নদীর মোহনার অবস্থিত। এই দ্বীপে রয়েছে মনোলোভা অপূর্ব সবুজের সমারোহ, দক্ষিনের সৈকতে দাড়িয়ে তটে আছড়ে পড়া সামুদ্রিক ঢেউ আর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট, বিস্তীর্ন সমুদ্র সৈকত, সীমাহীন নিস্তব্দতার মাঝে সামুদ্রিক পাখির কলকাকলী, হরিণ, বানর আর গরু মহিষের বিচরণ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।