ইতিহাস (History):
* ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিষয়গুলো তৎকালীন যোগযোগ মন্ত্রণালয়ের এবং পর্যটন খাত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল;
* ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিমান পরিবহন বিভাগ সৃষ্টি করে ঐ বিভাগসহ জাহাজ চলাচল,অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নামে একটি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে পুনরায় এ মন্ত্রণালয়কে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে রূপান্তর করা হয়;
* ডিসেম্বর, ১৯৭৭ সালে পৃথকভাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়;
* ২৪ মার্চ, ১৯৮২ সালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে বিলুপ্ত করে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়;
* এরপর ১৯৮৬ সালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনকে এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়;
* বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আদেশ ১৪৩ অনুযায়ী ১.০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পাঁচ লক্ষ টাকা পরিশোধিত মূলধন ও ছোট ছোট ৬ টি ইউনিট (কক্সবাজারস্থ হোটেল উপল ও প্রবাল, হোটেল সেলিম খুলনা, রেন্ট-এ কার, সাকুরা রেস্তোরাঁ ও বার এবং রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স) নিয়ে বাপক বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।
* Bangladesh Parjatan Corporation (Amendment) Act, 2022 অনুযায়ী বর্তমানে সংস্থাটির অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ১০০০ (এক হাজার) কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
* বর্তমানে পর্যটকদের সেবা প্রদানের জন্য ৫৩ টি বিভিন্ন প্রকার পর্যটন স্থাপনা যেমন হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, বার, পিকনিক স্পট, সুইমিং পুল, পর্যটন তথ্যকেন্দ্র ইত্যাদি রয়েছে;
কার্যাবলী (Functions):
* অভ্যন্তরীণ পর্যটন অবকাঠামো সৃষ্টি;
* প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং পর্যটকদের মানসম্মত সেবা প্রদান;
* দেশে ও বিদেশে পর্যটন-এর ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট বা সহায়ক সকল কার্য সম্পাদন;
* দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা;
* সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারণ;
* সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে বিদেশের সাথে পর্যটন চুক্তি সম্পাদন;
* পর্যটন সংক্রান্ত নানামুখী গবেষণা এবং দেশে-বিদেশে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা;
* পর্যটকদের জন্য হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, রেস্ট-হাউজ, পিকনিক স্পট, ক্যাম্পিং সাইট, থিয়েটার, বিনোদন পার্ক, ওয়াটার স্কিইং ও পর্যটকদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, নির্মাণ, আয়োজন, সংস্থান ও পরিচালনা;
* ট্রাভেল এজেন্সি গঠন এবং দলবদ্ধ ভ্রমণ আয়োজনের জন্য রেলওয়ে, শিপিং কোম্পানি, এয়ারলাইনস, জলপথ ও সড়ক পরিবহনের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা;
* কার্যকর কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজম উৎসাহিতকরণ এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা ও ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিকল্পে দেশের নারী জনগোষ্ঠীকে পর্যটন কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণ ;
* প্রকৃতি, জীব-বৈচিত্র্যকে অক্ষুন্ন রেখে ইকো-ট্যুরিজম ও নৃতাত্ত্বিক সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে ethno-tourism এর উন্নয়ন;
* পর্যটন শিল্পে শক্তিশালী সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্ব উৎসাহিতকরণ;