Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ নভেম্বর ২০১৯

চাঁদপুর জেলা

ক. ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও স্থাপত্য নিদর্শনঃ

১. মেহেরঃ

শাহরাস্থী উপজেলার অধীনে মেহের একটি প্রাচীন স্থান। সর্বানন্দ ঠাকুরের লীলাভূমি মেহের কালিবাড়ী হিন্দুদের তীর্থভূমি। এখানে মাটির নীচে প্রাচীর ইট ও মৃৎপাত্রের ভগ্নাংশ আবিস্কৃত হয়েছে।

 

 খ. ধর্মীয়ঃ

১. অলিপুর শাহসুজা মসজিদ ও আলমগীর মসজিদঃ

হাজীগঞ্জ উপজেলার অলিপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়ীর দীঘির উত্তর পাড়ে ও দক্ষিন পাড়ে মসজিদ দুইটির অবস্থান। অপেক্ষাকৃত ছোট শাহসুজা মসজিদটি ১৬৫৬ সালে সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র শাহসুজা নির্মান করেন। মসজিদের সামনে রয়েছে বড়পুকুর ও ঈদগাহ। বর্তমানে সংস্কারের ফলে এগুলোর মূল আকার আকৃতি হারিয়েছে। দক্ষিন পাড়ে অবস্থিত ৫ গম্বুজ বিশিষ্ট আলমগীর মসজিদ শাহী মসজিদ নামেও পরিচিত যা অপেক্ষাকৃত বড় ১৬৯২-৯৩ সনে সম্রাট আওরঙ্গ কর্তৃক নির্মিত। বারান্দাহীন এই মসজিদটি ত্রিভূজাকৃতির এবং এটিতে কোন জানালা বা ভেন্টিলেটার নাই।  সংস্কারের ফলে মসজিদটির কারুকাজ সম্পূর্ন বিলুপ্তি ঘটেছে। ঈদগাহের দক্ষিনে রয়েছে ৪ জন অলির মাজার। এ ৪ জন অলির নামে গ্রামটির নামকরণ অলিপুর হয়েছে। প্রতিবছর ২৫ মাঘ ৪ অলির মাজারে ওরশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

২. নেওড়া মঠঃ

হাজীগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিনে নেওড়া গ্রামে অবস্থিত মঠটি ১৭৯২ খ্রীঃ সত্যরায় মজুমদার নামক জনৈক ধনাঢ্য ব্যক্তি কর্তৃক নির্মিত। এই অষ্টকোনাকৃত্বির মঠটি ভূমিসংলগ্ন স্থান থেকে উপরে উঠে গিয়ে নকশা দ্বারা শোভিত। মঠের বাইরের দিক পোড়ামাটির চিত্রফলক দ্বারা সুশোভিত।

 

৩. তুলাতুলি যাত্রামনির মঠঃ

কচুয়া উপজেলার অধীনে তুলাতলী গ্রামে অবস্থিত মঠটি অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে যাত্রামনি মজুমদার নামক জনৈক ধনাঢ্য ব্যক্তি দ্বারা নির্মিত। মঠের ভিতরে আছে একটি গোলকার কক্ষ এবং এর দেয়ালে দুইটি সারিতে ১৬টি চ্যানেল আছে। মঠের বাইরের অংশ শৃগাল, ব্যাঘ্র্র, ময়ূর, ফনাবিশিষ্ট সাপ,  ফুল ও লতাপাতার ইত্যাদির নকশা  দ্বারা অলংকৃত।

 

গ. নৌ-পর্যটনঃ

চাঁদপুরে পদ্মা ও মেঘনায় নৌ ভ্রমণঃ

মেঘনা ও পদ্মা পরস্পর সঙ্গমে বিশাল আকার ধারনকারী দক্ষিনবাহী নদী পথের পাড়ে একটি বিপদজনক স্থানে চাঁদপুরের অবস্থান, নদীর মাতন, নানান ধরণের নৌকা ও নৌ-যানের অনবরত চলাচল, ইলশে জালে মাছ ধরা এবং বিকেলে নদীর বুকে সূর্য ডোবার দৃশ্য অতুলনীয়।

 

ফরিদগঞ্জঃ

ক. ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও স্থাপত্য নিদর্শনঃ

১. সাহেবগঞ্জের নীলকুঠিঃ

ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ নামক গ্রামে ঐতিহাসিক নীলকুঠি আজও নীলকরদের নির্যাতনের স্বাক্ষর বহন করে। এটি ফিরিঙ্গী গোলন্দাজ বনিকেরা নীলচানের খামার হিসেবে ব্যবসা কেন্দ্রের শহর  হিসেবে গড়ে তোলে। প্রবাদ আছে, উলিয়ট ও জর্জ চার্লেস নামীয় দুইজন খৃষ্টান জমিদার পরবর্তীকালে অত্র এলাকার সংগে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বড়বড় বেশ কয়েকটি রাস্তা তৈরী করে।

 

২.লোহাগড়ের মঠঃ

ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দা বাজারের দক্ষিন-পশ্চিমে দেড় কিলোমিটারের মাথায় অবস্থিত লোহাগড়। এই মঠটির জম্মকথা থেকেই এ গ্রামের নামকরণ করা হয়। এখনও বিদ্যমান রয়েছে প্রাচীন এ নিদর্শণটি। প্রভাবশালী জমিদার পরিবারের দুই ভাই “লোহা” ও ”গহুড়” তারা তখন যা ইচ্ছা তাই করতেন। নিজেদের ইচ্ছা পূরণে অন্যের প্রান বিসর্জন দিতেও কুন্ঠাবোধ করতেন না। এ দু’ভাইয়ের নামানুসারে গ্রামের নাম “লোহাগড়” রাখা হয়। এ মঠের পার্শ্বেই গণেশ বাবুর পুত্রের নামানুসারে আরও তিনটি মঠ বিদ্যমান রয়েছে।

 

৩. রূপসার জমিদার বাড়ীঃ

চাঁদপুরের সুপ্রাচীন গ্রাম রূপসার উনিশ শতকের প্রথমভাগের জমিদার মোহাম্মদ গাজীর বাড়ী। মোহাম্মদ গাজীর সুযোগ্য পুত্র আহমেদ গাজী চৌধুরীর সময়ে এ জমিদার পরিবারের বিস্তৃতি ঘটে। জনকল্যানমূলক কাজের স্বার্থে তিনি বহুজমি ওয়ার্কফ করে যান যার মধ্যে অন্যতম লাউতলীতে একটি বিশাল দীঘি এছাড়াও শিক্ষানুরাগী এ জমিদার অনেক গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। জনাহিতকর কাজের দিক থেকে চাঁদপুরের চৌধুরী মসজিদ এবং চৌধুরী ঘাটলা রূপসার জমিদার বাড়ীর অনন্য দৃষ্টান্ত।