ক) ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্বিক ও স্থাপত্যঃ
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনাঃ
১. শ্যামনগরঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরেই সুন্দরবন। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আর অপার ঐশ্বর্য্য বুকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে শ্যামনগর। সাতক্ষীরা সদর থেকে শ্যামনগরের দুরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। এখানে একদা ছিল প্রতাপাদিত্য রাজ্যের রাজধানী।
খ) ধর্মীয়ঃ
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনাঃ
১. ঈশ্বরীপুর হাম্মাম খানাঃ
কালীগঞ্জ উপজেলার বরশীপুর এবং এর আশেপাশের কয়েকটি এলাকা জুড়ে মধ্যযুগীয় শহর ঈশ্বরীপুরের ধবংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে। সাতক্ষীরা শহর থেকে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জগামী রাস্তাধরে ৫৫ কিঃ মিঃ চলার পর হাতের ডানে এর ধবংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে। বার ভূঁইয়া নেতা প্রতাপাদিত্যের (খ্রিঃ ১৫৯৯-১৬৯২) রাজধানী হিসেবে ঈশ্বরীপুর পরিচিত। অতীতে চারপাশে প্রাচীর থাকলেও বর্তমানে নেই। বর্তমানে একটি পাঁচ গম্বুজ মসজিদ সংলগ্ন বারআওলিয়ার মাজার রয়েছে। একটি হাম্মাম ও একটি মন্দির অন্যতম। এখানে বাংলাদেশের মাটিতে তৈরী প্রথম ”গীর্জার” অস্তিত্ব ছিল। বর্তমানে ইট-পাটকেল ব্যাতীত কিছু নেই।
২. জাহাজঘাটা হাম্মামখানাঃ
ঈশ্বরপুর থেকে ৬ কিঃ মিঃ দুরে গোপালপুরে রয়েছে ০৪ টি মন্দির এবং সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর যাওয়ার পথে জাহাজঘাটা ও হাম্মাম। জাহাজঘাটার মধ্যযুগীয় নাম ”দুদলী”। বলা হয় এখানে প্রতাপাদিত্য তার নৌ-সেনা দপ্তর স্থাপন করেছিলেন।
৩. পঞ্চমন্দিরঃ
সাতক্ষীরা বাস স্টপ থেকে রিক্সা নিয়ে আশাশুনিগামী সড়ক ধরে শহরের প্রান্তীয় এলাকায় “মায়েরবাড়ী” এটি একটি প্রাচীনঘেরা আয়তাকার চত্বর। এর মধ্যে পাঁচটি মন্দির আছে। এগুলোর মধ্যে দুটি সমতল ছাদবিশিষ্ট, দুটি আটচালাকার এবং একটি নবরত্ন স্থাপত্যশৈলীর ধারক। নবরত্ন মন্দিরটি অন্নপূর্ণ মন্দির নামেও পরিচিত। এর অন্যতম আকর্ষণ সারা দেয়াল জুড়ে বিদ্যমান পোড়ামাটির কারুকাজ। বিষ্ণুরাম চক্রবর্তী নামে একজন জমিদার ১২০১ বঙ্গাব্দে এটি নির্মাণ করেছিলেন। কালিমাতা মন্দির, শিব মন্দির, কালভৈরব মন্দির, অন্নপূর্ণ মন্দির, রাধাগোবিন্দ মন্দির কালের সাক্ষী হয়ে আছে এই পঞ্চমন্দির। ১৭৯৭ সালে জমিদার বিষ্ণুরাম চক্রবর্তী এ মন্দিরগুলো নির্মাণ করেন।
৪. পরবাজপুর মসজিদঃ
সাতক্ষীরা জেলার মুকুন্দপুর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তর-পূর্বদিকে যমুনা নদীর বামতীরে পরবাজপুর গ্রাম অবস্থিত। এখানে একটি বড় আকারের মসজিদ আছে। মসজিদটি বেশ প্রাচীন বলে ধারণা করা হয়। মসজিদের কোন শিলালিপি নেই। মসজিদে ব্যবহৃত ইট খান-ই-জাহানের মসজিদের ইটের মতো হলেও এটি খান-ই-জাহান আমলের নির্মিত নহে। গঠনপ্রণালী দেখে মনে হয়, এতে সুলতানী আমলের স্থাপত্যশৈলীর যথেষ্ঠ প্রভাব আছে। এই মসজিদটি বিক্রমাদিত্যের রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছিল বলে প্রবল জনশ্রুতি আছে।
গ) উৎসব সম্পর্কিতঃ
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনাঃ
গুড়পুকুরের মেলাঃ
পর্যটনের জন্য সম্ভাবনাময় সাতক্ষীরার প্রধান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম গুড়পুকুরের মেলা। আবহমান কাল থেকে ভাদ্রমাসের শেষ তারিখ হতে আশ্বিণ মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত এখানে গুড়পুকুরের মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ঘ) নৌ-পর্যটনঃ
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনাঃ
সাতক্ষীরার মুন্সীগঞ্জে সুন্দরবন সংলগ্ন মালঞ্চ নদীতে নৌ-বিহার অত্যন্ত আকর্ষণীয়।