দেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মসজিদ হিসেবে এটি পর্যটকদের নিকট আকর্ষনীয়।
খ) ধর্মীয়
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা
১. তালতলীর বৌদ্ধ মন্দির :
তালতলীর বৌদ্ধ মন্দিরটি পর্যটকদের নিকট এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নিকট আকর্ষনীয় স্থান।
গ) নৌ-পর্যটন
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা
১। বরগুনার সর্বত্রই দেখা যাবে নদ-নদী, খাল-বিল। সব ঋতুতে বরগুনা সবুজ সাজে সজ্জিত হয়ে থাকে। এর অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বারবার বসে থাকতে ইচ্ছে হবে কোনো এক নদীর তীরে। এই নদীতে বিকালে নৌ-ভ্রমন করতে পারেন আগত পর্যটকগন।
এ সমস্ত এলাকার সর্বত্রই খুঁজে পাওয়া যাবে প্রকৃতির নয়নলোভা সৌন্দর্য। পাথরঘাটায় রয়েছে সুদূর বিস্তৃত চোখ জুড়ানো সবুজ ধানক্ষেত, মাথা-দোলানো সুদৃশ্য তালগাছ, নারকেল-সুপারির বাগান। সকালে নদীতীরে বসে সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হতে হয়। হরিণঘাটায় রয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণ। এখানে আরো দেখা যাবে সাগর ও বন। হরিণঘাটা থেকে লালদিয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ মাইল জুড়ে রয়েছে বনভূমি। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দর বনের সমতুল্য বন সাদৃশ্য লালদিয়া চরটি অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত লালদিয়া চরটিতে কোন হিংস্র জীব-জন্তু নাই বললেই চলে তবে বন্য প্রাণীর মধ্যে বানর,হরিণ,শুকর ও শিয়াল ছাড়া অন্য কোন হিংস্র প্রাণী দেখা যায় না। শীতের মৌসুম শুরুতেই নানা জাতের অতিথী পাখির অগমনে চরটি এক অপূর্ব মনোরম দৃশ্যে পরিণত হয়।
ঙ) গ্রামীণ
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা
১। রাখাইন পাড়া :
এখানে দেখা যাবে রাখাইনদের পাড়া। সতেরো শতকের শেষদিকে রাখাইনরা এখানে এসে বসতি গড়ে তোলে। রাখাইনরাই এই উপকূলভাগে পতিত জঙ্গল কেটে আবাদ করে কৃষিভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলে। এখানের জমিতে ধানক্ষেত দেখা যায়। রাখাইনরা তাদের পার্বণিক প্রয়োজনসহ আত্মীয়-পরিজন আপ্যায়ন ও নিজেদের মুড়ি-মুড়কি,খৈ,পিঠে,পায়েশ,জর্দা খাওয়ার প্রয়োজনে তারা নানা জাতের বিভিন্ন ধানের চাষ করে থাকে। হরিণঘাটায় সারাদিন ঘুরে মনে হবে এ যেন এক অদ্ভূত জায়গা। এখানে নদীর তীরের আর সৈকতের নির্মল বাতাস প্রশান্তিতে মন ভরিয়ে তোলে।