Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ জুলাই ২০২০

বান্দরবান জেলা

 

ক. ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও স্থাপত্য নিদর্শনঃ

১. বোমাং রাজার বাড়িঃ

বান্দরবান শহরের কেন্দ্র স্থলেই মধ্য পাহাড় শত বছরের ঐতিহ্যের স্বারক নিয়ে দাঁড়ানো পুরনো রাজাবাড়ী। উন্নত নির্মান শৈলী ও আগের দিনের রাজা-বাদশাদের রাজ প্রাসাদের অনুকরণে এ রাজবাড়ী নির্মাণ করা হয় প্রায় শত বছর আগে। এখানে বান্দরবান বোমাং রাজাবাহাদুরের রাজ মুকুট, সোনার তরবারি ও রাজ জৌলুস সমৃদ্ধ রাজবাড়ী এখনও নজর কাড়ে। এ প্রাসাদে বার্ষিক রাজ পুন্যাহ নামক বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
 

খ. ধর্মীয়ঃ

১. বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবান শহর থেকে ১.৫ কিলোমিটার দূরে বালাঘাটায় পুলপাড়া নামক স্থানে প্রায় ১০০ মিটার উঁচু একটি পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত হয়েছে নয়নাভিরাম নির্মাণ শৈলীর দৃষ্টিনন্দন ট্যাম্পেল বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং।  এ জাদিটি শুধু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তীর্থস্থানই নয়, দেশেী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য পরিণত হয়েছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্পটে । দীর্ঘ আঁকাবাঁকা  পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠা ১৭০ ধাপের একটি সিঁড়ির শেষে এ জাদির গেট।  জাদির প্রধান আকর্ষন সোনালী কারুকাজ খচিত কেন্দ্রীয় মন্দির। এর চারপাশে রয়েছে ছোট ছোট কয়েকটি স্থাপনা, প্রদশর্নী শালা, ভিক্ষু নিবাস এবং প্রবেশমুখে রয়েছে দুটি বড় মূর্তিসহ ছোট ছোট আরও কয়েকটি মূর্তি। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরে সোনার তৈরী গৌতমবৌদ্ধ, কাশ্যপবুদ্ধ, ককোসা নন্নদবুদ্ধ ও কোলাগমন বুদ্ধের চারটি মূর্তি রয়েছে। এ জাদির আর এক আকর্ষন বিশালাকৃতির একটি ঘন্টা ঘিরে ছোট আকৃতির অনেকগুলো ঘন্টার একটি সারি যা দিনরাত টুংটাং করে বাজতে থাকা ঘন্টার ধ্বনি  চারিদিকে এক অতন্দ্রীয় আবহ তৈরী করে রাখে। জাদির আঙ্গিণা থেকে পর্যটকদের চোখে পড়বে বান্দরবান শহরের সবুজ পাহাড়ী ভূমি, ঝর্ণা ও সর্পিল সড়ক। আরও চোখে পড়বে সমতল ভূমি থেকে সাড়ে তিনশত ফুট উঁচুতে অবস্থিত দেবনাগ রাজপুকুর সহ ক্যাং-এর অন্যান্য থাপত্যকলা। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে এই আদি প্রাঙ্গণে বসে তিন দিনব্যাপী ধর্মীয় মেলা । এতে অংশ নেয় হাজার হাজার পূর্ণ্যাথী ও দেশ-বিদেশের পর্যটকরা।
 
 

গ. বিনোদনমূলকঃ

১. মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সঃ

পাহাড়ি আঁকা বাঁকা পথ বেয়ে বান্দরবান শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে বান্দরবানের সেরা পর্যটন কেন্দ্র মেঘলা মানেই বৈচিত্র্য। তাই বৈচিত্র্য পিয়াসী মানুষ এখানে এসে পেতে পারে অনাবিল আনন্দের সন্ধান। বিভিন্ন জাতের গাছ গাছালী শোভিত এ কমপ্লেক্স রয়েছে একটি কৃত্রিম হ্রদ। এই হ্রদে আকর্ষনীয় ঝুলন্ত সেতু, পানিতে ভ্রমণের জন্য স্পিড বোট, শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য রয়েছে শিশুপার্ক। আরও রয়েছে চিড়িয়াখানা, মিনি সাফারী পার্ক, পিকনিক স্পট, পর্যটকদের সামরিক অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য দ্বিতল গোলঘর। পর্যটকদের সামরিক বিশ্রাম ও নাস্তার জন্য রয়েছে তিনটি সুসজ্জিত কক্ষ সম্বলিত রেষ্ট হাউস এবং ক্যান্টিন। প্রতিবছর শীতের শুরুতে এখানে বনভোজনের ধুম পড়ে যায়। এ ছাড়াও প্রকৃতিপ্রেমী এবং আইটডোর শুটিং দলের সদস্যদের জন্য এটি অত্যন্ত প্রিয় প্রাঙ্গন।
 

৩. সাঙ্গু ব্রিজঃ

জেলা সদরের মানুষের প্রতিদিনের বিনোদন কেন্দ্র এই ব্রিজ। নিত্যদিনের ব্যবসা বাণিজ্য ও অফিসের কাজকর্ম সেরে সবাই একটু বিশ্রামের জন্য বিকালে এই ব্রিজে ভিড় জমায়।এই ব্রিজ থেকে সাঙ্গু নদীর মনোরম দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
 

ঘ. উৎসবঃ

১. থাই থার ঊৎসবঃ

থাই থার হচ্ছে আদিবাসী বম  সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব। তবে অন্যান্য আদিবাসীরাও থাই থার উৎসবকে সামাজিক উৎসব হিসেবে পালন করে। এ উপলক্ষে বম অধ্যুষিত পারুকপাড়া, লাইমীপাড়া, লাইলুনপি পাড়ায় আয়োজন করা হয় ব্যাপক অনুষ্ঠানমালার। পাহাড়ী  আদিবাসী পল্লীগুলো সাজে নতুন সাজে।  আয়োজন করা হয় আনন্দ উৎসবের। প্রতিবছর পাহাড় থেকে জুমের ধান ঘরে তোলার সময় বম সম্প্রদায় সহ আদিবাসী জুমিয়া পরিবারগুলো মেতে উঠে থাই ধার (নবান্ন) উৎসবে। বান্দরবানের আদিবাসী নারী-পুরুষেরা সকালে জুম থেকে নতুন ফসল তুলে এনে ক্যায়াং-এ প্রার্থনায় বসে। প্রার্থনা শেষে নতুন তোলা ফসলে তৈরী হরেক রকম খাবারের আয়োজন করে। সারাদিন চলে ভোজ ও নানান সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আদিবাসীদের সামাজিক ঐতিহ্য মদ্যপানের আসর।
 

ঙ. প্রাকৃতিকঃ

১. পর্যটন কেন্দ্র বগালেকঃ

বাংলাদেশের সর্ব উচুঁতে অবস্থিত প্রাকৃতিক হ্রদ বগালেক ৩৭০০ ফুট উচুঁ পাহাড় চূড়ার প্রায় ১৫ একর এলাকা জুড়ে স্বচ্ছ জলের হ্রদ। এ হ্রদ নিয়ে বহু কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। স্থানীয় অদিবাসীদের বিশ্বাস এ হ্রদের ভিতর ড্রাগন দেবতা বাস করতেন। গঠন শৈলী দেখে এক মৃত আগ্নেগিরির জ্বালামূখ মনে করেন অনেকে। হ্রদের পানি ঘন ঘন রং বদলায়। তবে বেশীর ভাগ সময়ে নীলচে দেখায়। হ্রদের পাড়ে মারমা পাড়া এবং উপরে বম বসতি।
 

২. প্রান্তিক লেকঃ 

জেলা সদর থেকে প্রায় ষোল কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-কেরানী হাট সড়কে হলুদিয়ার কাছাকাছি প্রায় আড়াই হাজার একর এলাকা জুড়ে এ লেক। বিস্তৃীর্ন এলাকার নির্জন পাহাড়ঘেরা এ লেকে রয়েছে একটি রেষ্ট হাউস, একটি দ্বিতল গোল ঘর এবং ফুলের বাগান সমৃদ্ধ একটি সবুজ চত্বর। নানা গাছগাছালি শোভিত এ লেকটি চড়াইভাতি আর চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে খুবই পছন্দনীয়।
 

৩. মিলনছড়িঃ

বান্দরবান শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে রুমা সড়কের পাশেই এর অবস্থান। প্রায় ১০ একর জায়গায় নির্মিত এই বেসরকারি পর্যটন কেন্দ্রটিতে সম্পদে ভরপুর এই স্থানটি এমন এক জায়গার অবস্থিত, যেখানে রোদ আর মেঘের মিতালী দু’চোখ ভরে উপভোগ করা যায়। উন্নত নির্মাণ শৈলী ও স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বিভিন্ন কটেজ নির্মিত হয়েছে।
 

৪. মিরিঞ্জাঃ

মিরিঞ্জা পর্যটন শিল্পের অত্যন্ত আকর্ষনীয় স্পট মিরিঞ্জা সাগর পৃষ্ঠ থেকে দেড় হাজার ফুট সুউচ্চ পাহাড় চূড়া, পশ্চিম দিগন্তে দিব্য চোখের করায়ত্ব, দিগন্ত রেখার সূর্য ডুবে আবার দৃশ্য অবলোকন, পশ্চিমের পাহাড় টিলায় দৃষ্টি নন্দন চির সবুজ পোশাক, সুউচ্চ পাহাড়ের মিকর থেকে সাগরের উত্তাল তরঙ্গমেলার মনোমুগ্ধ নৃত্য ও সাগরের উপর চলমান জাহাজের সম্মুখ যাত্রার দুর্লভ দৃশ্য, মেঘমুক্ত আকাশের তারার মেলা, পৃথিবীর দীর্ঘতম সাগর সৈকতের রাত্রিকালীন লাইট হউসের ঝিলিক, লামা-আলীকদমের অসংখ্য উৎসব থেকে জন্ম নেয়া স্রোতস্বিনীর সর্পিল গতিধারা, ১৯১২ সালের ডুবন্ত টাইটানিক জাহাজের কাল্পনিক দৈহিক রূপ, প্রায় ১০০ ফুট গভীর ঝিরি থেকে উৎসারিত জলসিঞ্চিলের বিরামহীন কলরব প্রভৃতি মনতথ্য স্ববক্ষে দেখার অনন্য সুযোগ রয়েছে এ মিরিঞ্জায়। এছাড়াও রয়েছে লামা তথা পর্বত্য বান্দরবানের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা মুরং, মার্মা, ত্রিপুরা জাতির সংস্কৃতি ও লোকচারের সান্নিধ্য পাওয়ার একটি বিরল সুযোগ। আধুনিক পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে অথবা সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে পর্যটন শিল্প খাতকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করলে এ মিরিঞ্জা পর্যটনই হতে পারে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম সম্ভাবনার খাত।
 

৫. বাকতলাই জলপ্রপাতঃ

রুমা উপজেলায় অবস্থিত বাকতলাই জলপ্রপাত বাংলাদেশের অন্যতম বৃক্ষ ও গভীরতম জলপ্রপাত। প্রায় ১ হাজার ফুট গভীর এই জলপ্রপাতের জলরাশি এত ব্যাপক যে, এর চারিদিকে সব সময় কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে।
 

৬. চিম্বুক পাহাড়ঃ

গাড়িতে চড়ে সরাসরি পাহাড় চূড়ায় পৌছা যায়- দেশের এমন সর্বোচ্চ পাহাড়ের নাম চিম্বুক পাহাড়। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ চিম্বুক, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। বাংলাদেশের দার্জিলিং নামে খ্যাত চিম্বুক ভ্রমণ পিয়াসীদের পদচারনায় সারাটা বছর থাকে মুখরিত। চারপাশে ছোট বড় অসংখ্য পাহাড় চিম্বুককে করেছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্টে অনন্য। এখানে পর্যটকরা মেঘের সাথে আলিঙ্গনের বিরল অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। এখানে টিএন্ডটি বোর্ডের একটি টাওয়ার ও সড়ক বিভাগের একটি রেষ্ট হাউজ আছে।
 

৭. তাজিংডং বা বিজয়ঃ 

বিজয় শৃঙ্গের স্থানীয় নাম তাজিংডং। বিজয় দেশের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম। এর উচ্চতা সাড়ে চার হাজার ফুট। ভ্রমণ পিপাসু মানুষ কষ্টকর পাহাড়ি পথে হেটে সে চূড়ায় পৌঁছে গেছেন এবং অপূরনীর আনন্দ নিয়ে ফিরে আসছেন।
 

৮. কেওক্রাডং

রুমা উপজেলায় অবস্থিত প্রায় ৪ হাজার ৩৩২ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট কেওক্রাডাং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ। দূর্গম এ পাহাড়ি এলাকার দৃশ্য খুবই মনোরম। শীত মৌসুমে এখানে দেশ বিদেশের বহু পর্যটক আসেন।
 

৯. শৈলপ্রবাতঃ

রুমা ধজুক জলপ্রপাত নদী পথে রুমা থেকে থানছি যাওয়ার পথে রুমা জল প্রপাতের দৃশ্য চোখে পড়ে। প্রায় তিনশ ফুট উচু পাহাড় থেকে সাঙ্গু নদীতে সারা বছর ধরে অবিরাম এ ঝরনাধারা স্পটটি স্বচ্ছ জলের বিন্দু সূর্যের আলোয় মুক্তার দ্যুতি ছড়াবে। এ ঝরনাতে ১২ মাসই স্রোত থাকে। বিধাজুক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঝরনা।
 

১০. আলীর সুরঙ্গঃ

জেলার আলীকদমে আলী সুরঙ্গ নামে এক রহস্য ঘেরা পর্যটন কেন্দ্র অবস্থিত। এই সূরঙ্গ নিয়ে নানা রহস্য ভরা কাহিনী ও কিংবদন্তি রয়েছে। সাহসীরাই এ সুরঙ্গ আবিস্কারের জন্য বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়েছেন, মাতামুহুরী নদী তীরবর্তী পাহাড়ের গহীন অরণ্যে অবস্থিত হলেও এ রহস্যকে জয় করতে গেছেন বহু পর্যটক। এই সূরঙ্গের ভেতরে আরো ৩/৪ টি সূরঙ্গ পতিত রয়েছে যাকে বাদুরের নীড় ও বলা চলে।
 

১১. নীলগিরি ঃ

বান্দরবান জেলা শহর থেকে ৫০ কি.মি. দূরে অপরূপ রূপে সুসজ্জিত নীলগিরি পাহাড় বান্দরবানের এক অনন্য পর্যটন আকর্ষণ যা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সহজে বিমোহিত করে রাখে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০০ ফুট ‍উচ্চতায় নীলগিরি সৌন্দর্যের পসরা নিয়ে সাজিয়ে আমাদের ডাকছে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত নীলগিরির চূড়া থেকে অবলোকিত হয় সারি সারি সবুজ পাহাড়। এছাড়া মেঘের ভেলা পর্যটকদেরকে পরশ বুলিয়ে যাবে ক্ষণে ক্ষণে। আকাশ পরিস্কার থাকলে নীলগিরি থেকে দূরে দেখা যায় বগালেক, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, চট্টগ্রাম শহর এবং ধীরে বহে চলা সাঙ্গু নদী। সারা বছরেই নীলগিরি মায়াবী রূপ উপভোগ্য তবে, বর্ষা এবং শরৎ হচ্ছে নীলগিরির রূপের ভরা যৌবন। শীতকালে খুব ভোরে নীলগিরি বেড়াতে আসলে দেখা যাবে সমগ্র পাহাড় ঢেকে আছে কুয়াশার চাদরে।নীলগিরির সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত খুব উপভোগ্য। জোৎস্না রাতে সবুজ পাহাড়ের নীস্তবদ্ধতা এক অনন্য আবেশে ভুলিয়ে দেয় মন। নীলগিরি যাবার পথে মিলনছড়ি ভিউপয়েন্ট, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক হিল দেখে যেতে পারবেন।

 

ঢাকা থেকে বান্দরবানে সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। বান্দরবান শহর থেকে জীপ, চান্দের গাড়ি, সিএনজি দিয়ে নীলগিরি যাওয়া যায়। নীলগিরিতে থাকার জন্য সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত কটেজ রয়েছে। এসকল কটেজে রাত্রিযাপন করতে হলে আগে থেকেই বুকিং করতে হয়। এছাড়া খুব ভোরে রওনা দিলে নীলগিরি দেখে দিনে দিনে বান্দরবান শহরে ফিরে আসা যায়। বান্দরবান শহরে মেঘলার কাছে রযেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন পরিচালিত মোটেল। এছাড়া বান্দরবান শহরে রযেছে অনেকগুলো হোটেল-মোটেল রয়েছে।
 

১২. নীলাচল ঃ

বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ৫ কি.মি দূরে টাইগার পাহাড়ের ‍উপর রূপের কন্যা নীলাচল অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত নীলাচল দাঁড়িয়ে আছে সবুজে আচ্ছাদিত সারি-সারি উচু পাহাড়, মেঘের উড়াউড়ি এবং মায়াবী রূপের সম্ভার নিয়ে। এখানে ভোরে মেঘের খেলা এবং সকালের সূর্যোদয় ও বিকালের সূর্যাস্ত অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এছাড়া, নীলাচল থেকে বান্দরবান শহর এবং স্বর্ণমন্দির স্পষ্ট দেখা যায়। আকাশ পরিস্কার থাকলে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত অবলোকন করা যায়। নীলাচলে একেক দিকের রূপ একেক রকম। নীলাচল দেখার জন্য ঢাকা থেকে সরাসরি বাসযোগে বান্দরবান শহর তারপর স্থানীয় যানবাহনে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে যাওয়া যায়।