ক) ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্বিক ও স্থাপত্য নিদর্শনঃ
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনাঃ
১. নীলকুঠি আমঝুপিঃ
মেহেরপুর জেলা শহর থেকে ৬ কিঃ মিঃ পূর্বদিকে কাজলা নদীর পূর্ব ও উত্তরপাড় ঘেষে আমঝুপি নামের গ্রামে বিরল এক নৈসর্গিক পরিবেশে “নীলকুঠির” অবস্থান। সরাসরি চুয়াডাঙ্গাগামী রাস্তা ধরে গাড়ী বা ভ্যানে করে পৌঁছা যায়। মূল অবস্থায় এ কুঠি ৩১.২৮ হেক্টর জমির উপর বিস্তৃত ছিল। কিন্তু বর্তমানে ভূমিগ্রাসী মানুষের আগ্রাসনে ১৪.৯৭ হেক্টরে সীমিত হয়ে পড়েছে। ৫৬টি লিচু গাছ ৪৬৮টি আমগাছ, ১৮টি রেইনট্রি ও ১৪টি নারিকেল গাছের নিকুঞ্জের ঠিক মাঝখানে একটি বাংলো আকারের ভবন। বর্তমানে কেবল দুটি নীলগাছ রয়েছে। এটি এ্যাসবেষ্টর দিয়ে তৈরী। ভিতরে মোট ১৫টি কোঠা রয়েছে। দায়ারপিঠ খাবারকৌঠা, ৪টি সাজকোঠা, ১টি নাচঘর, ৩টি শোবার কোঠা এবং একটি পরিচারক কোঠা আছে। শোবার কোঠার একটি এখনও বেশ সুশোভিত। দেখলেই বোঝা যায় এটি বিশেষ অতিথিরা ব্যবহার করতেন। রয়েছে মূল্যবান ও আকর্ষণীয় আসবাবপত্র। অনেকেরই ধারণা এ কুঠিতে বসেই কুখ্যাত মীরজাফর ও ঘসেটি বেগম প্রথম নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর রেসিডেন্ট অধিকতার সাথে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ তৈয়ার করেছিল।
২. মুজিবনগরঃ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী এটি। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এখান থেকেই গঠিত হয়েছিল স্বাধীন দেশের সার্বভৌম সরকার। ভারতের সীমান্ত ঘেষে বৈদ্যনাথতলায় অবস্থিত। জেলা শহর থেকে ১৫.৫ কিঃ মিঃ, কুষ্টিয়া থেকে ৭৪ কিঃ মিঃ এবং ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দুরত্ব ৩৫১ কিঃ মিঃ। নিয়মিত বাস সার্ভিস আছে। মুজিবনগরে রয়েছে ৮.১৩ হেক্টর জমি জুড়ে বিস্তৃর্ণ বিশাল আমের বাগান। এর দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধের ত্রিভূজাকারের ক্রমান্বয়ে উচু আকারে দাঁড়িয়ে থাকা খামগুলো স্বাধীনতা-পূর্ব ২৩ বছরের পাকিস্তানী শাসনামলে বাংলাদেশীদের উপর শোষণ ও বঞ্চনার “প্রতীকী” হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
৩। ভাটপাড়া নীলকুঠিঃ
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার অন্তর্গত ভাটপাড়া নীলকুঠি এবং তৎসংলগ্ন এলাকা একটি পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান।