১. শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ ও কালাচাঁদ চৈতন্য বিগ্রহ মন্দিরঃ
রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়ন সদরে এর অবস্থান। এ প্রত্নস্থলে প্রাচীর ঘেরা চত্বরে একটি মন্দির ও একটি নাট্যমন্দিরসহ কিছু আধুনিক ইমারত আছে। সীমানা দেয়ালে উত্তর দিক ব্যতীত প্রত্যেক দিকে একটি প্রবেশ তোরণ আছে। প্রাচীর ঘেরা চত্বরের বাইরে উত্তর-পশ্চিমে ৭ মিটার দূরে একটি দোলমঞ্চ, ৭ মিটার দক্ষিণে একটি নাট্যমঞ্চ এবং নাটমন্দিরের ৭ মিটার পশ্চিমে একটি পাকা স্নানমঞ্চ রয়েছে। এগুলোর স্থাপত্যশৈলীতে উনিশ শতকের ছাপ বিদ্যমান। এছাড়া রয়েছে মার্বেল পাথরের বিগ্রহ। এগুলো শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ ও কালাচাঁদ চৈতন্য নামের দু’জন স্বনামধন্য সাধকের বিগ্রহ এর চারদিকে রয়েছে ছায়াঢাকা-কোকিল ডাকা আদি আবহমান বাংলার রূপ বৈচিত্র।
খ) উৎসব সম্পর্কিত: পর্যটন আকর্ষণ:
১. মেলাঃ
রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেলা-উৎসবের আয়োজন করে থাকে। রাজবাড়ী দিল্লীর বাদশাহ মেলা, শশ্মানের মেলা, দূর্গামেলা, শিববাড়ি মেলা উল্লেখযোগ্য। মেলা উৎসবের সময় এ এলাকা ভ্রমণে গেলে আলাদা বৈচিত্র পাওয়া যায়।
গ) প্রাকৃতিকঃ পর্যটন আকর্ষণ:
১. পদ্মা নদীঃ
রাজা সূর্যকুমার রায়ের জমিদারি ছিল একসময়ে রাজবাড়ীতে। সে রাজবাড়ী থেকেই জেলার নামকরণ করা হয়েছে রাজবাড়ী। পদ্মানদী বয়ে গেছে রাজবাড়ী জেলার উপর দিয়ে। রাজবাড়ী শহর থেকে কয়েক মাইল উত্তরে গেলেই দেখা যায় পদ্মা নদী। রাস্তার দু’ধারের সবুজ গাছগাছালী দেখে পদ্মার কাছে যাওয়া সে এক আনন্দের অনুভূতি। বারবার মুগ্ধ হতে হয় পাখির কলকাকলি দেখে। অপূর্ব এই জায়গা। রাজবাড়ীতে বেশি চোখে পড়ে নদী আর কৃষিপ্রধান সমতলভূমি।