দরসবাড়ি নামটি দরস অর্থাৎ বিদ্যাপীঠ শব্দ হতে উদ্ধৃত যা একটি প্রাতিষ্ঠানিক মাদ্রাসাকে নির্দেশ করে। দরসবাড়ি মসজিদের পূর্বে একটি বিশাল এলাকা জুড়ে এ মাদ্রাসাটি সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ এর আমলে নির্মিত হয়েছিল। প্রাচীনকালে বিশেষত: সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ এর শাসনামলে স্থাপত্যবিদ্যার যে অপূর্ব উন্মেষ ঘটেছিল, এ মাদ্রাসার ধ্বংশ স্তুপের ভিত্তি ভূমিই এর পরিচয় বহন করে। সে যুগের স্থাপত্য শিল্পের প্রকৌশলগত দিক এবং সুনিপূণতার ছাপ বিদ্যমান এ মাদ্রাসায়। বর্গাকৃতির এ মাদ্রাসার চতুর্দিকে ৩৭টি বর্গাকার কক্ষ ছিল। মাদ্রাসার দেয়ালের ভিতর ও বাইরের অংশ পোড়ামাটির মনোরম অলংকরণ ও ছাচের তৈরী নকশায় আবৃত ছিল ।
২. রোহানপুর সমাধিসৌধ :
নবাবগঞ্জ জেলার রোহনপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নওদা গ্রামে অবস্থিত। সমাধি সৌধটি রোহনপুর-নওদা এলাকায় একমাত্র মধ্যযুগীয় ভবন যা এখনও বিদ্যমান। প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষণ ও সংস্কারের পূর্বে ইট নির্মিত এই সৌধটি বেশ জীর্ণাবস্থায় ছিল। অষ্টভুজাকার ভবনটির পরিমাপ ২৬.৫২ মিটার। এর প্রত্যেকটি বাহুর ১.৩৭ মিটার পুরু এবং ৪.৩৪ মিটার দীর্ঘ। সৌধের আটটি দেয়াল বিশাল গম্বুজের ভার ধরে রেখেছে। শৈলীগত দিক থেকে ভবনটি সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে নির্মিত বলে অনুমিত হয়। সময়ের বিচারে এটি সম্ভবত বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যের ইতিহাসের সর্বপ্রথম অষ্টভূজী ভবনের নিদর্শন।
৩. পাঁচ’শ বছরের পুরনো তেঁতুল গাছঃ
নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের গুড়লা গ্রামে প্রায ৫’শ বছরের অতি প্রাচীন এই তেঁতুল গাছটি রয়েছে। এর উচ্চতা প্রায় পৌনে দুইশত ফুট এবং দশ কাটা জমি বেষ্ঠিত এর ব্যপ্তি। স্থানটি পাখিদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গাছের নিচে পূজা অর্চনা করে থাকে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী গাছটি দেখতে আসে।
খ) ধর্মীয় :
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা :
১. ছোট সোনা মসজিদ :
সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন বলে খ্যাত ছোট সোনা মসজিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলাধীন শাহাবাজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে অবস্থিত । বিশাল একটি দিঘীর দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে এর অবস্থান। প্রধান প্রবেশপথের উপরিভাগে স্থাপিত একটি শিলালিপি অনুযায়ী জনৈক মজলিস-ই-মাজালিস মসলিস মনসুর ওয়ালী মুহম্মদ বিন আলী কর্তৃক মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এর রাজত্বকালের কোন এক সময়ে নির্মিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত সুলতানি আমলের নিদর্শনগুলির মধ্যে ছোট সোনা মসজিদ সর্বোত্তম সংরক্ষণ। অলংকরণের ক্ষেত্রে মসজিদের গম্বুজের উপর অংশে সোনালি গিল্টির ব্যবহার করা হয়েছিল যা সূর্য বা চাঁদের আলোতে স্থাপনাটিকে সম্পূর্ণরুপে স্বর্ণনির্মিত বলে মনে হতো, এর থেকে সোনা মসজিদ নামকরণ হয়েছে যা এখন আর অবশিষ্ট নেই। এ মসজিদের বড় বিশেষত হচ্ছে ইট ও পাথরে নির্মিত মসজিদের ভিতর ও বাহিরের দেওয়াল গ্রানাইট পাথর দ্বারা আচ্ছাদিত। মসজিদের গায়ে আচ্ছাদিত পাথর খন্ডে টেরাকোটা খোদাইকৃত অলংকরণ রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরে গম্বুজ ও খিলানগুলি চুন সুরকির আস্তরণে আচ্ছাদিত মধ্যে মধ্যে পোড়ামাটির ফলকে নানা ধরনের ফুলের মটিভ দ্বারা অলংকৃত। খিলানের স্প্যান্ড্রিল ও ফ্রেমের উপরের স্থানগুলি আকর্ষনীয় অলংকরণ দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে খোদাইকরা গোলাপ ফুলের নক্সা দিয়ে ভরাট করা। বৃটিশ সরকার মসজিদটির সংস্কারের নামে বহু মূল্যবান প্রস্তর খন্ডগুলোর সংগ্রহ, আবার কোনটি সমজিদের গা থেকে খুলে নিয়ে পাচার করে। এর মধ্যে কিছু কিছু নিদর্শন বৃটিশ যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে বলে জানা যায়।
২. ছোট সোনা মসজিদের নিকটস্থ সমাধি :
ছোট সোনা মসজিদের উত্তর দক্ষিণ কোনে একটি পাশাপাশি দুটি সমাধি রয়েছে। সমাধি দুটির উত্তর দক্ষিণে ১৫ ফুট এবং পূর্ব পশ্চিমে ১০ ফুট। মধ্যযুগীয় কায়দায় কবর দুটির বক্ষে কালো পাথরের ফলক বিদ্যমান। চারকোণে চারটি পাথরের নকশা করা ছোট পিলার করা রয়েছে। এখানে কারা সমাহিত আছেন তা সঠিক জানা যায়নি, তবে ঐতিহাসিকগণ সমাধি দুটিকে মসজিদের নির্মাতা ওয়ালি মুহাম্মদ ও তার পিতা আলীর বলে মনে করেন। মসজিদের দক্ষিণ পূর্ব কোনে বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টিন মহীউদ্দিন জাহাঙ্গীর এবং তার পার্শ্বে মেজর নাজমুল হকের সমাধি অবস্থিত।
৩.দরসবাড়ি মসজিদ :
ঐতিহাসিক ছোট সোনা মসজিদ ছেড়ে উত্তরদিকে প্রায় ১কি:মি: দূরে কতোয়ালি দরজা হতে প্রায় অর্ধ কি:মি: দক্ষিণ পশ্চিমে বালিয়াদীঘি বাজারের প্রায় ৬০০ গজ পশ্চিমে দরসবাড়ি মসজিদ অবস্থিত। প্রাচীন এই মসজিদটির অতি সামান্য পশ্চিমে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত। মসজিদের বহির্দেশ উত্তর-দক্ষিণে দৈর্ঘ্য ১১১ ফুট ও পূর্ব-পশ্চিমে প্রস্থ ৬৭ ফুট। এর পূর্বদিকে ৭টি খিলানযুক্ত দরজা রয়েছে। মসজিদের বাহির ও ভিতরে টেরাকোটার ফলক দ্বারা অলংকৃত। এ মসজিদটি বাংলায় মুসলিম শাসনামলের মধ্যযুগীয় মুসলিম স্থাপত্য কলার একটি অপূর্ব নিদর্শন। এর পূর্ব প্রান্তে রয়েছে একটি বিশাল পুকুর। ১৮৭৬ খি: এ মসজিদের একটি শিলালিপি উদ্ধার করা হয় যা বর্তমানে কলকাতা যাদুঘরে রক্ষিত।
৪. শাহ নেয়ামতউল্লাহ ওয়ালী মসজিদ :
শাহ্ সুজার প্রাসাদ বা তহাখানার উত্তর পশ্চিম কোনে এই সুরম্য তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদটি অপেক্ষাকৃত উচু ভিটির উপর অবস্থিত। মসজিদটির পূর্বে প্রশস্ত আঙ্গিনা প্রাচীরবেষ্টিত। পূর্ব প্রাচীরের মধ্যে দিয়ে রয়েছে মসজিদের প্রবেশ পথ। প্রাচীরের পূর্ব প্রান্তে দুই কোণে শক্ত বেষ্টনীর ছোট বুরুজ রয়েছে। প্রাচীরটি বিচিত্র নকশাযুক্ত। ঐশ্বর্য মন্ডিত এ মসজিদটি উত্তর দক্ষিণে সাড়ে তেষট্টি ফুট দীর্ঘ ও পূর্ব পশ্চিমে সোয়া চব্বিশ ফুট দীর্ঘ। সমস্ত মসজিদটি চুন ও পোড়া মাটির পলাস্টার দ্বারা আবৃত। পূর্বের মধ্য দরজার সম্মুখে খিলান কুলুঙ্গি প্যানেল দ্বারা জমকালোভাবে সজ্জিত। সব মিলিয়ে মসজিদটির অবয়ব ও অপূর্ব নকশা অলংকরণ খুবই আকর্ষনিয়।
৫. শাহ নেয়ামতউল্লাহ (রঃ) ওয়ালী সমাধি :
শাহ্ নেয়ামতউল্লাহ (রঃ) মসজিদের উত্তরে শাহ্ নেয়ামতউল্লাহ (রঃ) এর মাজার শরীফ অবস্থিত। এটি বাংলায় নির্মিত সর্বপ্রথম মুঘল যুগের স্থাপত্য নিদর্শন। উঁচু ভিটের উপর নীর্মিত এ সমাধিটি বর্গাকৃতির এক গম্বুজ বিশিষ্ট ইমারত। মূল সমাধি ভবনের অভ্যন্তরে ইতিহাস বিখ্যাত ওলী শাহ্ নেয়ামতউল্লাহ (রঃ) অস্তিম শয্যায় শায়িত। তার শিয়রে একটি আরবী ক্যালিগ্রাফ যুক্ত প্রস্তরলিপি রয়েছে। মাজারের দক্ষিণ পূর্বে আরো এটি সমাধি ভবনে দুইটি কবর রয়েছে, ধারণা করা হয় যে কবর দুটি শাহ সাহেবের সহধর্মীণিদের। পশ্চিম দক্ষিণ কোনে তাঁর দুই ছেলের আরো দুটি কবর রয়েছে। ভাদ্রমাসের শেষ শুক্রবার শাহ্ সাহেবের ইসালে সওয়াব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ঐদিন শাহ্ নেয়ামতউল্লাহ (রঃ) এর ব্যবহৃত খিলফা (পাঞ্জাবি) যার সমস্ত অংশে পূর্ণাঙ্গ কোরআন শরিফ লিখিত আছে এবং তাঁর স্বহস্তে লিখিত একটি বড় কোরআন শরীফ প্রদর্শিত হয়।
৬. তহা-খানা :
তহা-খানা বা তাহ খানা একটি ত্রিতল রাজপ্রাসাদ। তহাখানা ফার্সি শব্দ এর অভিধানিক অর্থ ঠান্ডা ভবন। দাফেউল বালা নামক একটি দীঘির পারে এটি অবস্থিত। এর একটি তলা ভূগর্ভে এবং অন্য দুটি তলা উপরে। তন্মধ্যে ৩য় তলাটির অস্তিত্ব প্রায় বিলুপ্ত ঘটেছে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থ হতে জানা যায় মুঘল সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজা বাংলার সুবেদার থাকাকালে তার মুর্শিদ হযরত শাহ নেয়ামতউল্লাহ (র:) এর প্রতি ভক্তি নিদর্শনের জন্য এ প্রাসাদ নির্মাণ করেন। শাহ সুজার রাজমহলে থাকা কালে মাঝে মধ্যে হযরত শাহ নেয়ামতউল্লাহ (র) প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ পিরোজপুরের এই নগরীতে আসতেন। তখন তিনি দরবেশের সাথে এই প্রাসাদে বেশ কিছুদিন সময় অতিবাহিত করতেন। প্রাসাদটির পূর্ব প্রান্তে পুকুর পাড়ের দিকে মাটির নিচে পাঁচটি ঘর, উপর তলায় তেরটি ঘর রয়েছে। এছাড়া একটি কুয়াঘর এবং দুটি খোলাঘর রয়েছে। মোঘল যুগের এ প্রাচীন নিদর্শনটি সেই যুগের উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য কলার অপূর্ব নিদর্শন।
৭. খনিয়াদীঘি মসজিদ :
খনিয়াদীঘি মসজিদ রাজবিবি মসজিদ নামেও পরিচিত। বর্তমান নবাবগঞ্জ জেলার প্রচীন গৌড় নগরের উঁচু মাটির দেওয়াল থেকে প্রায় সিকি মাইল উত্তরে এবং বালিয়াদীঘি থেকে পশ্চিমে খনিয়াদীঘির পশ্চিম পাড়ে মসজিদটি অবস্থিত। প্রত্নতত্ত¦ অধিদপ্তর কর্তৃক মেরামতের পর মসজিদটি এখন সংরক্ষিত হচ্ছে। প্রধানত ইটের তৈরী এ মসজিদটিতে রয়েছে ২৯ ফুট পার্শ্ব বিশিষ্ট একটি বর্গাকৃতির মূল প্রার্থনা কক্ষ এবং পূর্বদিকে ২৯ ফুট দৈঘ্য ও ৯.৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ঠ একটি বারান্দা রয়েছে। প্রার্থনা কক্ষের উপরের ছকটি বিশাল একটি গোলাকার গম্বুজ আকারে নির্মিত এবং অন্য দিকে বারান্দার উপরে আছে তিনটি ছোট গম্বুজ। বারান্দা থেকে প্রার্থনা পথে তিনটি খিলানপথ রয়েছে। মসজিদের বাইরে চার কোণে রয়েছে চারটি অষ্টভূজাকৃতির বুরুজ।
৮. ধুনিচক মসজিদ :
প্রাচীন নগরী গৌড়ের বাংলাদেশ অংশে এবং খনিয়াদীঘি মসজিদ এর প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে শুকিয়ে যাওয়া একটি পুকুরের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত। যদিও মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংস্কারকৃত তথাপি এখনও এটির সংরক্ষণের অবস্থা খারাপ। শুধু উত্তর ও দক্ষিণের দেয়াল ছাদ পর্যন্ত এবং মসজিদের অভ্যন্তরের পাথরের স্তম্ভ বর্তমানে বিদ্যমান। পার্শ্ববুরুজসহ সমস্ত গম্বুজাবৃত ছাদ, দক্ষিণ ও পূর্ব দেয়াল পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত।
গ) সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক :
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা :
১.গম্ভীরা গানঃ
গম্ভীরা এক প্রকার জনপ্রিয় লোক সঙ্গীত। সাধারণত বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের এ গান প্রচলিত। গম্ভীরা গানে সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হয়্ এবং তার সমাধানও বলে দেওয়া হয়। পূর্বে গম্ভীরা গানে শিবের অস্তিত্ব কল্পনা করা হতো। বর্তমানে শিবের পরিবর্তে ‘নানা-নাতির’ ভূমিকায় দুজন অভিনয় করে। তাদের সংলাপ ও গানের মধ্য দিয়ে দ্বৈতভাবে গম্ভীরা গান পরিবেশিত হয়। আঞ্চলিক ভাষায় রচিত সংলাপ ও গানের মাধ্যমে কোনও একটা বিষয় তুলে ধরা হয়। নানা-নাতির নাচ,গান,কৌতুক অভিনয়,ব্যঙ্গ প্রভৃতির ফলে গম্ভীরা গান খুবই উপভোগ্য হয়ে উঠে।
ঘ) বিনোদনমূলক :
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা :
১. প্রকৃতির নৈসর্গিক লীলাভূমি বাবুডাইং :
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের বাবুডাঙ্গায় ২০০ একর খাস জমিতে গড়ে উঠেছে প্রকৃতির নৈসর্গিক এক মনোরম পরিবেশ । উঁচু কয়েকটি টিলার জন্যই এক সময়ের বাবুডাঙ্গা আঞ্চলিকভাবে এখন বাবুডাইং নামে পরিচিত। ছোট-বড় ২৬টি টিলার সমন্বয়ে গঠিত বাবুডাইংয়ে বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার গাছ রোপণ করে বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এলাকাটির সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করেছে। বিএমডিএ’র হিসেব মতে বর্তমানে এখানে ২৫ থেকে ৩০ হাজার গাছ আছে। এ ছাড়াও এখানে ৫টি পুকুর খনন করেছে বিএমডিএ। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ লেকে একটি ক্রসড্যাম নির্মাণের ফলে বর্ষা মৌসুমে এই ক্রসড্যামের পানি প্রবল বেঘে প্রবাহিত হওয়ায় তা দেখতে কৃত্রিম ঝর্নার মতো মনে হয়। সরকারী বা বেসরকারী পর্যায়ে সুষ্ঠ পরিকল্পনা নিয়ে বিনিয়োগ করলে বাবুডাইং উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে। সরকার আয় করতে পারে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।