সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ঝালকাঠি জেলা
ক) ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্বিক ও স্থাপত্য
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা
১. ঘোষাল রাজবাড়ী :
ঝালকাঠি বাসস্টপ থেকে একটি রিক্সা নিয়ে আধাঘন্টার মধ্যে শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত রায়েরকাঠি গ্রামে পৌঁছা যায়। এগ্রামে রয়েছে প্রায় দু’শ আড়াইশ বছর আগে তৈরী কিছু জমিদারী আমলের স্থাপনা। এগুলো দু’ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে আছে একগুচ্ছ স্মৃতি-মন্দির। বসত ভবন চত্বরটিতেও মন্দির রয়েছে। তবে সেগুলো পূজা-মন্দির। কোনটি দূর্গা এবং কোনটি লক্ষ্মীনারায়ণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। বর্তমানে এগুলো সবই পরিত্যক্ত ও ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় ছড়িয়ে আছে। তবে স্মৃতি-মন্দির অঙ্গনটি আজও মোটামুটি প্রদর্শনযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। এখানে স্থাপনার সংখ্য ১৩ টি, এর মধ্যে একটি পঞ্চরত্ন স্থাপত্যশৈলীর ধারক। বাকিগুলি হয় এক শিখির অথবা সমতল ছাদবিশিষ্ট। কোন কোনটিতে পোড়ামাটির কারুকাজ রয়েছে। এক প্রান্তে রয়েছে ছোট একটি পুকুর। চারদিকে ছায়াঘেরা ও পাখিডাকা গ্রামীণ পরিবেশ।
খ) নৌ-পর্যটন
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা
১. সূগন্ধা নদী :
ঝালকাঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সুগন্ধা নদী। এর পূর্বদিকে কালিজিরা ও কীর্তনখোলা নদী। ঝালকাঠির স্থাপত্য কীর্তিগুলো যেমন দেখার মতো এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের আকর্ষণ ও তেমনি। নদী তীরে আসলে দেখা যায় রং- বেরংয়ের পাল তোলা নৌকা চলে যাচ্ছে পূর্বে-পশ্চিমে-দক্ষিণে। মন হারিয়ে যাবে অজানা এক দেশে। জেলার ভিতর চলাচলের জন্য নৌকাই-প্রধান বাহন। ঝালকাঠির খাল-বিল-নদীতে বেড়ানোর জন্য নৌকা নেয়াই ভালো। বর্ষায় নৌকা নিয়ে যেদিকেই যাওয়া যাকনা কেন সেদিকেই মন উজার করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখেও কল্পনার সাগরে ভাসা যায়। এছাড়া এ জেলার বিষখালী, সুগন্ধা ও গজালিয়া নদীতে জেলেদের সঙ্গী হয়ে নৌকা ভ্রমনের স্বাদই আলাদা।