ধান-নদী-খাল এই তিনে বরিশাল। ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বরিশালের এক সাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কবি বিজয়গুপ্ত ও বাংলার চারণকবি মুকুন্দ দাস এর জম্মস্থান। চারণ কবি মুকুন্দ দাসের কালী মন্দিরটিও বরিশালে।
২. স্মৃতি বিজড়িত চাখার :
বাংলাদেশের অন্যতম নেতা শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের স্মৃতি বিজড়িত চাখার। এখানে তাঁরই স্মৃতি বহন করছে শের-এ বাংলা স্মৃতি যাদুঘর। সড়কপথে বাসে চাখারে যাওয়া যায়।
৩. দত্তবাড়ি :
বরিশাল থেকে ১৭ মাইল উত্তরে বাটাজোড় গ্রামে বিখ্যাত দত্তবাড়ি। দত্তপরিবারের অশ্চিনিকুমার দত্ত প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল জেলার একচ্ছত্র নেতা হিসাবে কাজ করেছেন। অশ্চিনিকুমার দত্তই ১৮৮৪ সালের ২৭ জুন পিতার নামানুসারে ব্রজমোহন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে এটি কলেজে এবং আরো অনেক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। এখানে আকর্ষণীয় স্থানের মধ্যে বেলস্ পার্ক, অক্সফোর্ড মিশন, শংকর মাঠ, রামমোহনের সমাধি সৌধ উল্লেখযোগ্য ।
৪. সুজাবাদের কেল্লা :
সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভ্রাতাশাহ সুজা মগ ও বর্মীদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য এটি নির্মাণ করেছিলেন।
৫. সরকার মঠ :
গৌরনদী উপজেলার উত্তর পশ্চিমে চন্দ্রহার গ্রাম। এ গ্রামে একটি এক-কোঠা বিশিষ্ট আটকোণাকার শিখর মন্দির আছে যা এর বিশাল উচ্চতার জন্যে সহজেই অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। চুন সুরকী দিয়ে ছোট আকারের ইট গেঁথে গেঁথে এ দৃষ্টি নন্দন মন্দির তৈরী হয়েছে। এটি দু’শ বছরের পুরোনো।
খ) ধর্মীয়
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা
১. কসবা মসজিদ :
গৌরনদী উপজেলা সদরের কাছে কসবা গ্রামে এক বিশাল দিঘীর পাড়ে “আল্লার মসজিদ” খ্যাত এই মসজিদ অবস্থিত। প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত ঐতিহ্যবাহী নয় গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি আনুমানিক ১৫ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত । ইট সুরকীর তৈরী এ মসজিদটির চার কোণে চারটি গোলাকৃতি মিনার ও উপরিভাগে তিন সারিতে নয়টি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদটির সামনের দেয়ালে তিনটি প্রবেশপথ দেখা যায়। উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে আরও একটি করে প্রবেশপথ থাকলেও তা বর্তমানে গ্রিল দিয়ে বন্ধ। বর্গাকার এই মসজিদটির অভ্যন্তরে পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি মিহরাব ও কেন্দ্রস্থলে রয়েছে চারটি প্রস্তরনির্মিত স্তম্ভ। এ অঞ্চলের অনেকেই স্তম্ভগুলোকে অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন বলে মনে করে।
গ) নৌ-পর্যটন
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা
১. কীর্তনখোলা নদী :
বরিশাল শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কীর্তনখোলা নদী। এখানে বিলে নৌ-বিহার করা যায়। নৌ-বিহারে দেখা যায় ঝাউগাছের সারি, নারিকেল সুপারির বাগান। বরিশাল আগাগোড়াই নদীমাতৃক। বেশীরভাগ নদীই আবার প্রমত্তা। নালা, ডোবা, খাল, বিল প্রভৃতি প্রধান অনুষঙ্গ। শরৎ-হেমন্তের বরিশালের নদী-নালা, খাল-বিল অথৈ জলে ভরে উঠে। সে সময় কীর্তনখোলা নদীতে নৌ-ভ্রমনের উপলব্ধিটাই আলাদা।