ক) ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও স্থাপত্য নিদর্শন : পর্যটন আকর্ষণ :
১. সিঙ্গাইরের ফোর্ড নগর দূর্গ :
সিঙ্গাইরে রয়েছে ফোর্ডনগর দূর্গ। স্থাপনাসমূহ ব্রিটিশ আমলের স্থাপনার এক অনন্য নিদর্শন।
২. ঘিওরের কুঠিবাড়ি ও নীল কুঠি :
ঘিওরের শ্রীবাড়ি বড়টিয়া গ্রামে রয়েছে কুঠিবাড়ি ও নীল কুঠি। স্থাপনাসমূহ বৃটিশ আমলের স্থাপনার এক অনন্য নিদর্শন।
৩. তেওতা জমিদার বাড়ি :
মানিকগঞ্জের তেওতায় এ জমিদার বাড়ি অবস্থিত। এখানে বড় পুকুর ও সান বাধান ঘাট রয়েছে। যে ঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে ইচ্ছা করবে। একদা এই পুকুর ঘাটে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাঁশি বাজাতেন। তখন পাশে বসে থাকতেন প্রমীলা। তেওতায় নজরুল পূজার সময়ও এসেছেন।
৪. সেনযুগের দালান কোঠা, সুলতানী আমলের দালান কোঠা :
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, হরিনা আর রামকৃষ্ণপুর গ্রামে রয়েছে সেনযুগের দালানকোঠার ধবংসাবশেষ এবং জাফরগঞ্জ, গড়পাড়া, মাচাইন, খচনাপুরে রয়েছে সুলতানী আমলের দালান-কোঠা।
৫. বালিয়াটি জমিদারবাড়ি :
শহর-ঢাকা থেকে সড়ক পথে ৬২ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে সাঁটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নে অবস্থিত। এখানে রয়েছে পুববাড়ি, পশ্চিমবাড়ি, উত্তরবাড়ি, মধ্যবাড়ি ও গোলাবাড়ি । আরও রয়েছে নট মন্দির,
দুর্গামন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, গৌরাঙ্গ মঠ, দাতব্য চিকিৎসালয় ও বিদ্যালয়। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুববাড়ি যেটি দশানি নামেও পরিচিত।
খ) সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক : পর্যটন আকর্ষণ :
১. দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় :
১৯৪২ সালে মনিকগঞ্জ কলেজ নামে স্থাপিত হয়। টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের ব্যবসায়ী রণদাপ্রসাদ সাহা’র পিতার নামে পরে এর নামকরণ করা হয় দেবেন্দ্র কলেজ। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদ রফিক ছিলেন একসময় এই কলেজের ছাত্র। শহীদ রফিকের মায়ের কবর এই কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
গ) গ্রামীণ, কৃষি ও স্থানীয় ঐতিহ্য : পর্যটন আকর্ষণ :
১. সরিষা ফুল :
ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জের ঝিটকায় দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে রয়েছে সরিষা ক্ষেত। দুই পাশে বিস্তৃত হলুদ ক্ষেতের মাঝে এখানে রয়েছে সারি সারি খেজুর গাছ। এখানকার সরিষা ক্ষেতগুলোর কোনো কোনো জায়গায় মধুচাষিরা বসেছেন মধু সংগ্রহের জন্য। তা ছাড়া খুব সকালে ঝিটকা পৌঁছতে পারলে বাড়তি পাওনা হবে গাছ থেকেই সদ্য সংগ্রহ করা খেজুরের রস। এসব জায়গায় সূর্য ওঠার আগেই গাছিরা রস নামিয়ে ফেলেন।