সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শাহজাদপুর সদরের দরগা পাড়ায় অবস্থিত। ধারনা করা হয় যে,পনেরশতকে প্রখ্যাত সুফীসাধক হজরত মখদুম শাহদৌলার (রঃ) এ মসজিদ নির্মাণ করেন। শাহজাদপুর মসজিদটি তিন সারিতে পাঁচটি করে মোট পনেরোটি গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত। বাংলাদেশে অবস্থিত অন্যতম প্রাচীন এই মসজিদে প্রাথমিক সুলতানি আমলের স্থাপত্যরীতির সকল বৈশিষ্ট্যই পরিলক্ষিত হয়।
২. নবরত্ন মঞ্জিল :
উল্লাপাড়া উপজেলাধীন হাটিকুমরুল ইউনিয়নের নবরত্নপাড়া গ্রামে এই মন্দির অবস্থিত। এর আশেপাশে আরো কয়েকটি ছোট ছোট মন্দির রয়েছে। ১৭০৪-১৭২০ খ্রিঃষ্টাব্দের মধ্যে এই মন্দিরগুলি নির্মাণ করা হয়। মূল মন্দিরটি তিনতলা বিশিষ্ট্য এবং অন্যান্য মন্দিরসমূহ দোচালা ও মঠাকৃতি আটকোনা বিশিষ্ট।
খ) সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক :
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা :
১. রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি :
সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শাহজাদপুর উপজেলার দরিয়ারপুর বাজারে অবস্থিত রবীন্দ্র কাছারী বাড়ি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহজাদপুর অবস্থানকালে এই কাছারি বাড়িতে অবস্থান করেন। তিনি এখানে বসে বহু গান ও কবিতা রচনা করেন। এই কাচারী বাড়িটি তিনি গড়ে তুলে ছিলেন সাহিত্যচর্চার কেন্দ্র হিসেবে। কাছারি বাড়িটি ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নিমির্ত একটি দ্বিতল ভবন। বাড়িটির প্রতি তলায় সিঁড়িঘর ব্যতীত বিভিন্ন আকারের মোট সাতটি করে কক্ষ আছে। ভবনটির উত্তর ও দক্ষিণে একই মাপের প্রশস্ত বারান্দা, বারান্দায় গোলাকৃতির জোড়া মাপের থামের উপরাংশের অলঙ্করণ বড় মাপের দরজা, জানালা ও ছাদের উপর প্যারাপেট দেয়ালে পোড়ামাটির কাজ বিশেষভাবে লক্ষণীয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংস্কার করে ভবনটি রবীন্দ্র জীবনভিত্তিক আলোকচিত্র ও এ বাড়িতে প্রাপ্ত ও সংগ্রহ করা আসবাবপত্র এবং তৈজসপত্র দিয়ে একটি স্মৃতি জাদুঘরে রূপ দেয়া হয়েছে। পাশেই রয়েছে রবীন্দ্র পরিষদ ভবন। এখানে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি মিলনায়তন ও পাঠাগার।
গ) বিনোদনমূলক :
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা :
১. জয়সাগর দিঘী :
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলাধীন সোনাপাড়া ইউনিয়নের নিমগাছি বাজার হতে প্রায় ১ কি:মি: পশ্চিমে এ বিশাল ও প্রখ্যাত দিঘীটির অবস্থান। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ভূইয়াগাঁতী নামক স্থান হতে তাড়াশ অভিমুখী রাস্তার পাশে অবস্থিত। জয়সাগর দিঘীর বিশাল জলাধার ছাড়াও পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার নিমিত্ত পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। ঐতিহাসিকগণের মতে পাল সাম্রাজ্যের রাজা ২য় গোপালের শাসনামালে (৯৪০-৯৬০ খ্রিঃ) জয়সাগর দিঘী খনন করা হয়।
২. বঙ্গবন্ধু সেতু :
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম এবং বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতু। বাংলাদেশর প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামানুসারে সেতুটির নামকরণ করা হয়। সেতুটির দৈঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার। ১৯৯৮ সালের জুনমাসে এটি উদ্বোধন করা হয়। সড়ক ও রেলপথে দ্রুত যাত্রী ও মালামাল পরিবহণ ছাড়াও এই সেতু দেশের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে বিদ্যুৎ, প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালন এবং টেলিযোগাযোগ সমম্বিত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।