Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ জানুয়ারি ২০২০

কুষ্টিয়া জেলা

ক) ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্বিক ও স্থাপত্য নিদর্শনঃ

পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনাঃ

১. শিলাইদহের রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ীঃ

কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ গ্রামে-এর অবস্থান। মূলতঃ এখানে খ্রিঃ আঠারো শতকে একটি নীলকুঠি ছিল। পরবর্তীতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের পরিবার কুঠিটি কিনে নেয়। পদ্মার ছোবলে কুঠিটি ভাঙ্গার উপক্রম হলে ঠাকুর পরিবার পরবর্তীতে এ ভবনটি তৈরী করে। এ ভবনে স্থাপত্যে কাশ্মিরের কাদির হামদানী কাঠের মসজিদের আদল অনুসৃত হয়েছে। কাশ্মীরকে যেমন উপমহাদেশের ভূ-স্বর্গ বিবেচনা করা হয় তেমনি ঠাকুর পরিবার শিলাইদহকে বাংলার ভূ-স্বর্গ বিবেচনা করেছিলেন। এটি একটি তিনতলা স্থাপনা। কবির একান্ত ভাললাগার বকুলতলা মঞ্চ, শতাব্দী প্রাচীন বড় বড় বেশ কটি গাছ, কবির ব্যবহৃত বহুসামগ্রী সব মিলিয়ে এ এক দৃষ্টিনন্দন ইমারত। এ বাড়ীতেই ১৯১২ সালে কবি গীতাঞ্জলীর ইংরেজী অনুবাদ শুরু করেছিলেন। এ বাড়ীতেই কবি জীবনের অনেক নামী-দামী কবিতা রচনা করেছিলেন। এখানে প্রতিবছর রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীতে তিন দিনব্যাপী বিশাল এক মেলার আয়োজন হয়।

খ) ধর্মীয়ঃ

পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনাঃ

১. লালন শাহের মাজারঃ

গড়াই নদীর পারে দেউলিয়ার ৯ কিঃ মিঃ দূরে লালন কমপ্লেক্স রয়েছে। এ কমপ্লেক্সে বাউল সাধক লালন শাহের (খ্রিঃ ১৭৭৪-১৮৯০) কবর আছে। তাছাড়াও একটি যাদুঘর, একটি গ্রন্থাগার আছে। গৃহত্যাগী বাউলদের ভিড় সারা বৎসর লেগেই থাকে। অবিরাম চলে একতারা, দোতারা, খঞ্জনী প্রভৃতির সাথে সাধন-ভজনের গান। তাছাড়া লালন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়ায় আরো আছে গড়াই নদী, গড়াই ব্রীজ, মোহিনী মিল, রেনউইক বাঁধ ইত্যাদি।

২. ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ কুষ্টিয়াঃ

কুষ্টিয়া শহর থেকে প্রায় ২১ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে পাকা সড়ক থেকে কয়েকমাইল পশ্চিমে ঝাউদিয়া মসজিদ মোঘল আমলের একটি উল্লেখযোগ্য কীর্তি। মসজিদটিকে হাল আমলে প্রায় নতুন করে নির্মাণ করার ফলে এর আদিরূপ কিছুটা নষ্ট হয়েছে। এ মসজিদ খুব সম্ভব সম্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছিল।

গ) নৌ-পর্যটনঃ

পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনাঃ

১। নৌ-ভ্রমণঃ

কুষ্টিয়ার উত্তর পার্শ্বে গড়াই নদী এবং পূর্বপাশে পদ্মা। গড়াই নদীর বাঁক কুষ্টিয়ার প্রধান সৌন্দর্য্য। চপলমতি ষোড়শির মতো এঁকেবেঁকে দূরে চলে গেছে। দু’পাশে চমৎকার গাছপালা এবং দু’শ বছরের পুরাতন গড়াই সেতু। পড়ন্ত বিকেলে গড়াই নদী তীরে চর এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে ইচ্ছে হবে। নৌ-বিহার এখানে পর্যটকদের জন্য খুবই আকর্ষণীয়।