Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ জুলাই ২০২০

বগুড়া জেলা

 

ক) ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও স্থাপত্য নিদর্শন :

পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা :

 

১. বগুড়ার নবাববাড়ি :

বগুড়ার নবাববাড়ি সড়কে অবস্থিত এই  ঐতিহাসিক নিদর্শন  মোহাম্মদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম অ্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক নামে পরিচিত। আজ থেকে প্রায় ১৮০  বছরের পুরনো এই পুরাকীর্তি। সিঁড়ি বেয়ে প্রথম ও প্রধান কক্ষে ঢুকতেই চোখে পড়ে শিল্পীর আঁকা নওয়াব পরিবারের সদস্যদের ছবি। অন্দরমহলে ভেতর দিয়ে প্রবেশ করা যায় খাজাঞ্চিখানায়। প্রদান কক্ষের বাঁদিকে দুটি কক্ষ রয়েছে এর একটিতে নবাবপুত্ররা খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করতেন। অন্যটি খাবারঘর এখানে সাজানো রয়েছে পুরানো অনেক সামগ্রী। এর পরেই রয়েছে জলসাঘর।

 

২. স্কন্দের ধাপ :

এই প্রত্নঢিবিটি এখনও অনেকটা অক্ষত আছে। বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের অন্তর্গত বাগোপাড়া গ্রামে অবস্থিত। এর অবস্থান মহাস্থানগড় থেকে প্রায় ৩.৫ কি:মি: দক্ষিণে এবং করতোয়া নদী থেকে প্রায় ৯০ কি:মি: পশ্চিমে। প্রত্নঢিবিটির পশ্চিম দিকে প্রায় ৮ হেক্টর বিস্তীর্ণ ময়নামতীর দীঘি নামে একটি প্রাচীন পুকুর রয়েছে। প্রত্নঢিবিটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৬০ মিটার দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৪০ মিটার প্রশস্ত; চারদিকের ভূমি থেকে এটি স্থান ভেদে ২-৭ মিটার উঁচু। প্রত্নস্থলের সর্বত্র প্রাচীন মৃৎপাত্র এবং ইটের টুকরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।এই প্রত্নস্থলে এখনও খনন কাজ শুরু হয়নি। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে এখানে লাল পাথরের একটি মস্তকহীন মূর্তি পাওয়া গেছে। অনুমান করা হয় যে, এটি কৃষাণ নির্মিত একটি কার্তিকেয় মূর্তি।
 

৩. মানখালীর ধাপ :

বগুড়াস্থ মহাস্থানগড়’-পুন্ড্রনগরে অবস্থিত একটি প্রত্নস্থল বা ঢিবি। ঢিবিটি ১৯৬৫-৬৬ সালে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে উৎখনিত হয়। এই খননের ফলে এখানে একটি সুলতানি যুগের মসজিদের ধ্বংসাবশেষ আবি®কৃত রয়েছে, যার নিচে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এই ধাপের পশ্চিম পার্শ্ব সংলগ্ন একটি শুষ্ক ডোবা আছে। ডোবাটি উঁচু ধাপ থেকে যথেষ্ট গভীর মনে হয় যা কুন্ড (কূপ) নামে অভিহিত। এজন্য মানকালীর ধাপকে একত্রে মানখালী কুন্ডধাপ বলা হয়। এখানে উত্তরাঞ্চলীয় কালো চকচকে মৃৎপাত্রের খন্ডাংশ, কিছু শৃঙ্গযুগের পোড়ামাটির ফলক, কতগুলি অলংকৃত ইটের ভগ্নাংশ পাওয়া গেছে। এছাড়া এখান থেকে একটি জৈন প্রতিমা, ব্রোঞ্জের গণেশও গরুর মূর্তি পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত প্রত্নসম্পদ থেকে অনুমিত হয় যে এখানে সম্ভবত পাল যুগের একটি হিন্দু মন্দির ছিল।
 

৪. পরশুরামের প্রাসাদ :

পরশুরামের প্রাসাদ মহাস্থানগড় দুর্গনগরের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। মহাকালীর কুন্ড থেকে আনুমানিক ২০০ মিটার উত্তরে এই স্থানে স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী এ এলাকার শেষ হিন্দু রাজা পরশুরামের প্রাসাদ ছিল বলে উলে¬খ করা হয়। এখানে খননের (১৯৬১) ফলে পাল, মুসলিম ও বৃটিশ ঔপনিবেশিক আমলের নানা সাংস্কৃতিক নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া গেছে। খননের নিম্নতর স্তরে পাল আমলের নানা ভবনের ধ্বংসাবশেষ, কিছু পোড়ামাটির নকশি পাতলা ইট (ফলক) এবং এ স্থানের মধ্যস্থলে কিছূ ভবনের অবশেষ ও এই ভবনের বলে অনুমিত কিছু চমকদার মৃৎপাত্র পাওয়া গেছে। মৃৎপাত্রগুলি মুসলিম শাসনামলের।

 

৫. বৈরাগীর ভিটা :

বৈরাগীর ভিটা মহাস্থান (পুন্ড্রনগর) নগরদূর্গের মধ্যে একটি মন্দির এলাকা। এলাকাটি মহাস্থানের উত্তর দূর্গ-প্রাকার থেকে ৭৬ মিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ১৯২৮-২৯ সালে খননের ফলে এখানে প্রাথমিক ও শেষ পর্যায়ের পাল যুগের  (অষ্টম-নবম ও একাদশ শতাব্দী) দুটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এ মন্দিরদ্বয়ের উত্তরে একটি উন্মুক্ত অঙ্গনে প্রাচীর ঘেরা আরও কয়েকটি স্থাপত্য কাঠামো পাওয়া গেছে। মন্দির কমপ্লেক্সের পূর্বপার্শ্বস্থ মঞ্চের ধ্বংসাবশেষ পরিলক্ষিত হয়। এ ধ্বংসাবশেষে ২৩ টি কামরার অস্তিত্ব দেখা যায়। এগুলি সম্ভবত স্নানকারীরা ব্যবহার করত। উপরোউক্ত বিষয় ছাড়াও প্রত্নস্থলে লুকিয়ে থাকা গভীর গর্তগুলি পালযুগীয় কাঠামোসমূহের নিচে পরবর্তী গুপ্ত যুগের (ষষ্ঠ শতাব্দী) ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন বহন করে।

 

৬. গোবিন্দ ভিটা :

গোবিন্দ ভিটা একটি খননকৃত প্রত্নস্থল যা বগুড়া জেলাস্থ মহাস্থানগড়-পুন্ড্রনগরীর উত্তর পরিখার উত্তর তীরে অবস্থিত। গোবিন্দ ভিটা শব্দের অর্থ হিন্দু দেবতা গোবিন্দ তথা বিষ্ণুর আবাস। এ প্রত্নস্থলের পূর্ব ও উত্তর পার্শ্ব দিয়ে করতোয়া নদী প্রবাহিত। গোবিন্দ ভিটা প্রত্নস্থলটি ১৯২৮-২৯ সালে কে.এন. দীক্ষিত খনন করেছিলেন। ১৯৬০ সালে ড. নাজিমউদ্দিন আহমদ এখানে একটি গভীর খাত খনন করেন। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিভিন্ন আকৃতির ও ধরনের পোড়ামাটির দ্রব্য, স্বল্পমূল্যের পাথরের তৈরী গুটিকা ও বোতাম, কানবালা ও কুন্তল, নাকফুল ইত্যাদি। এছাড়া, পোড়ামাটির মূর্তি ও খলনা এবং তামা ও ব্রোঞ্জের তৈরী বলয় এবং সুরমা দন্ডও পাওয়া গিয়েছে।

 

৭. গোকুল মেধ :

বগুড়া সদর থানাধীন গোকুল গ্রামে খননকৃত একটি প্রত্নস্থল। গোকুল গ্রামটি মহাস্থানগড় থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। চতুর্দিকে অসংখ্য ছোট ছোট কুঠুরি সংবলিত গোলাকার এই গোকুলের মেধটি সমতল ভূমি হতে প্রায় ৬০ ফুট উঁচু। এর উপরিভাগের মাঝখানে একটি গোলাকার মুখ আছে যা বর্তমানে মাটি দ্বারা ভরে গেছে। প্রত্নস্থলটি এদেশের জনপ্রিয় লোকগাঁথার নায়ক-নায়িকা বেহুলা-লক্ষিন্দরের বাসর ঘর বলে জনসাধারণের কাছে পরিচিত। এ স্থানটিকে লক্ষিন্দরের মেধও বলা হয়ে থাকে।

 

৮. ভাসু বিহার :

মহাস্থানগড় থেকে প্রায় ৩-৪ মাইল উত্তর-পশ্চিমে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে বাসু বিহার অবস্থিত। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর প্রত্নতাত্তি¦ক খননের মাধ্যমে এ অঞ্চলে দুটি বড় আকারের বৌদ্ধ মঠ ও একটি বৌদ্ধ সমাধি উন্মোচিত হয়েছে। ১৯৭৯-৮৩ সালের বিহার ঢিবিতে খনন পরিচালনার মাধ্যমে ৩৭টি কক্ষ বিশিষ্ট একটি মঠ আবি®কৃত হয়। উদ্ধার করা হয় কমপক্ষে ৬০টি ক্ষুদ্র ব্রোঞ্জ মূর্তি ও বেশকিছু পোড়া মাটির ফলক ।

 

৯. কানাই ধাপ :

কানাই ধাপ ঢিবিটি বগুড়া সদর উপজেলার বামনপাড়া  গ্রামের  বড়তারা নামে পরিচিত একটি পুকুরের পশ্চিম পাড়ে আবস্থিত। এর মোট আয়তন প্রায় ৬ হেক্টর। টিবিটির সর্বত্রই গুপ্ত যুগের ইটের টুকরা ও মৃৎপাত্রের খন্ডাংশ ছড়িয়ে রয়েছে। ঢিবি থেকে মাটি কাটার ফলে সম্প্রতি একটি পুরনো ইটের দেওয়াল  উন্মোচিত হয়েছে। ঢিবি থেকে গুপ্ত যুগের অনেকগুলো পোড়ামাটির ফলক উদ্ধার করা হয়েছে যার বিষয়বস্তু ছিল রামায়নের কাহিনী চিত্র। তাছাড়া আদি বাংলা অক্ষর খোদিত পোড়া মাটির সিলও পাওয়া গেছে। ঢিবিটিতে একটি ধর্মীয় স্থাপনা লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করা হয়।

 

১০. গোদাইবাড়ি ধাপ :

মহাস্থানগড়ের প্রায় ৩ কি:মি: পশ্চিমে অবস্থিত। খননকার্যের ফলে এখানে একটি মসজিদেও ধ্বংসাবশেষ আবিস্কৃত হয়েছে। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খরোষ্ঠি/ দেবনাগরী লিপিতে উৎকীর্ণ একটি প্রস্তরখন্ড এবং অলংকৃত কিছু পোড়ামাটির ফলক এবং ইট।
 

১১. সন্ন্যাসীর ধাপঃ

বগুড়া জেলা সদরে দুটি ঢিবি স্থানীয়ভাবে সন্যাসীর ধাপ নামে পরিচিত।এর একটি মহাস্থানগড় এর প্রায় ২ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে নামুজা ইউনিয়নের বড় ট্যাংরা গ্রামে এবং অপরটি মহাস্থানগড়ের জাদুঘর থেকে প্রায় ৫.৫ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে গোকুল ইউনিয়নের সরলপুর গ্রামে অবস্তিত। বড় ট্যাংরা গ্রামের সন্নাসীর ধাপ একটি সমতল শীর্ষের আয়তাকার ঢিবি। বাঁশঝাড় ও আমবাগানে আবৃত এই ঢিবিটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে ক্রমশ ঢালু  হয়ে একস্থানে এসে তা হঠাৎ করেই খাঁড়াভাবে নিচে নেমে গেছে। ঢিবিটির সর্বত্র ভাঙা ইট ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সরলপুরের সন্ন্যাসীর ধাপটি তুলনামুলকভাবে ছোট। এর চারিদিক ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে ঢালু হয়ে এসেছে।এর উপরিভাগ সমতল।
 

১২. তোতারাম পন্ডিতের বাড়ি বা বিহার ধাপ :

এটি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার বিহার ইউনিয়নের বিহার গ্রামের পূর্বদিকে অবস্থিত। বর্তমানে ঢিবিটি পূব-পশ্চিমে প্রায় ২৫০ মিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে ২২০ মিটার লম্বা এবং চারিদিকে ভূমি থেকে প্রায় ২ মিটার উঁচু। তবে এর বিস্তৃতি দেখে অনুমান করা যায় যে, এর প্রকৃত বসতির পরিধি ছিল প্রায় ৫২ হেক্টর এলাকা জুড়ে। উন্মোচিত প্রত্নঢিবিটির আকার এবং চারিদিকের পরিবেশ বিবেচনা করতে উক্ত স্থানে ভারতের নালন্দা বিহার সদৃশ বিহার এবং মন্দিরের অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয়। খননের ফলে উত্তর-দক্ষিণে ৫৭মিঃ এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৬১ মিঃ দীর্ঘ একটি বিহার আবি®কৃত হয়েছে। এর উন্মুক্ত আঙ্গিনার চারপাশে ৩৭ টি কক্ষ রয়েছে। ঢিবিটির দক্ষিণ-পূর্ব অংশে একটি মন্দিরের ধবংসাবশেষ দেখা যায়। এখানে রৌপ্যমুদ্রা, পোড়ামটির ফলক, সিল, পুঁতি , খেলনা, ব্রোঞ্জ নির্মিত প্রত্নবস্তু ইত্যাদি বহু মুল্যবান সামগ্রী পাওয়া গেছে।

 

১৩. খোদাই পাথর ঢিবি :

এখানে যে বিরাটকায় পাথর দেখা যায় তা ‘খোদার পাথর’ নামে পরিচিত। পাথরটি দৈর্ঘ্য ১১২ ইঞ্চি প্রস্থ ২৮ ইঞ্চি ও প্রস্থ ২৬ ইঞ্চি। এই পাথরটি সম্পর্কে মতবিরোধ আছে। অনেকের মতে এটা হিন্দু মন্দিরের অংশ বিশেষ আবার অনেকের মতে বৌদ্ধ মন্দিরের দরজার উপরের অংশ। পাথরটির সম্মুখ অংশ কারুকার্য খচিত। খোদার পাথর ঢিবিতে একটি প্রাচীন বটগাছ আছে। এর নীচে মাঝে মাঝে দরবেশদের সমাগম হয়
 

১৪. ওঝা ধম্বন্তরীর ভিটা :

মহাস্থান গড় খেকে প্রায় ২ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হরিপুর,হাজরাদীঘি, রামশহর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে প্রায় ২০ ফুট উঁচু ধ্বংসাবশেষটি ওঝা ধম্বন্তরীর ভিটা নামে পরিচিত। জনশ্রুতি আছে ভিটাটি মজবুত এবং চতুর্দিকে সুরক্ষিতভাবে তৈরী হয়েছিল। কথিত আছে ওঝা ধম্বন্তরী ছিল পরশুরামের গৃহ চিকিৎসক।
 

১৫. পদ্মার বাড়ি ও বিষ পত্তন :

কালিদহ সাগর নামক স্থানে পদ্মার বাড়ি ও বিষ পত্তন নামে দুটি উঁচু ঢিবি খেতে পাওয় াযায়। জনশ্রুতি আছে পদ্মার বাড়ি নামক জায়গায় সর্পদেবী পদ্মার বাড়ি বাড়ি ছিল। পদ্মাদেবী সমস্ত সর্পের বিষ বিষপত্তন নামক স্থানে জমা রাখতেন। জনশ্রুতি আছে বিষপত্তন ঢিবির মধ্যে এখনও নাকি তিনটি সোনার কড়াই এর মধ্যে বিষ জমা আছে।  এক সময় এখানে প্রচুর সর্প দেখা যেত।
 

১৬. কাঞ্জির হাড়ি :

কিংবদন্তী আছে এখানে হাড়ীতে ভাত পঁচিয়ে ভাতের কাত দিয়ে মদ বানানো হতো। সেকালে মহাস্থানগড়ের সৈন্যসামন্ত, রাজকর্মচারী ও অন্যান্যদের জন্য এখান থেকে মদ সরবরাহ হতো।
 
 

খ) উৎসব সম্পর্কিত :

পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনা :

১. পৌষ নারায়নী স্নান :

এখানে প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠমাসের শুক্লা দশমীতে দশহরা স্নান উপলক্ষে মেলা বসে।এ মেলায় বিপুল জনসমাগম হয়।