Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

নেত্রকোণা জেলা

 

ক) ধর্মীয়ঃ পর্যটন আকর্ষণঃ

১. সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ:) মাজারঃ
নেত্রকোনা শহর থেকে ৭ কিমি. দক্ষিণে মদনপুর গ্রামে হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ:)-এর মাজার অবস্থিত। কথিত আছে অন্যান্য সহচরদের সাথে তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলে আসেন।কোচ রাজার সাথে তাঁর লড়াই, ইসলাম প্রচার ও অলৌকিক ক্ষমতা সর্ম্পকে স্থানীয়ভাবে অনেক মজার মজার কিচ্ছা-কাহিনী রয়েছে।

 

খ) সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলকঃ পর্যটন আকর্ষণঃ

১. রাজবংশীয় উপজাতীয়দের বসবাসঃ
রাজবংশীয় ও ভোট-বর্মী গ্রুপের একটি ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী। তাদের ক্ষেত্রিয় নামক এক কোচ শাখার সঙ্গেও অভিন্ন বলে ভাবা হয়। দুরাতীতকালে এরা হিমালয় অঞ্চলে বা ব্রক্ষ্্রপুত্র উপত্যকা থেকে বাংলাদেশ এলাকায় প্রবেশ করেছিল। রাজবংশীরা খর্বকার, চ্যাপ্টা নাক, উচু চোয়ালবিশিষ্ট এক মিশ্র জনগোষ্ঠীর মানুষ। এরা বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী। বাংলাদেশে এদের বসবাস প্রধানত রংপুর, দিনাজপুর ও রাজশাহীতে। অতি অল্প সংখ্যক ময়মনসিংহ, বগুড়া ও নেত্রকোনা জেলায় বসবাস করে। রাজবংশীরা মূলত কৃষিজীবি, তবে মাছধরা এবং মাছ বিক্রি এদের অন্যতম পেশা। মেয়েরা কুঠির শিল্পের কাজে দক্ষ। এদের সমাজে পিতাই পরিবারের প্রধান।

২. বিরিশিরি কালচারাল একাডেমীঃ

বিরিশিরি ইউনিয়ন সদরে এ প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। এতে ঐ অঞ্চলে বসবাসকারী গারো, বানাই, হাজং, দালু, কোচ ও মান্দাই খুদে-জনগোষ্টীগুলোর জীবন যাত্রার সাথে সম্পৃক্ত বহু নিদর্শন সংরক্ষিত আছে। লাইব্রেরী এবং অডিটরিয়ামও আছে। এ অডিটরিয়ামে খুদে-জনগোষ্ঠিগুলোর বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে বহু অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতি চর্চা আয়োজিত হয়। তাছাড়া বিরিসিরিতে বাৎসরিক আদিবাসী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রতিবছর আষাঢ় মাসে অনুষ্ঠিত হয়।

৩. রানী খং মিশনঃ
নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পশ্চিম দিকে ফেরীঘাটে গিয়ে খেয়া নৌকায় সোমেশ্বরী নদী পাড়ি দিয়ে রিক্সা, ভ্যান অথবা নৌকায় রাণীখং যেতে হয়। এখানেও বৈচিত্রের ছোঁয়া রয়েছে। রানীখং-এর প্রধান আকর্ষণ টিলার ঢালে সুদৃশ্য খ্রিস্টান মিশন (খ্রি: ১৯১২ সালে প্রতিষ্টিত) এতে রয়েছে গীর্জা, বিদ্যালয়, চিকিৎসালয় ও ছাত্রাবাস। রানীখং-এর অপর আকর্ষণ নারী নেত্রী হাজং মাতা রাশমনির স্মৃতিসৌধ।


গ) উৎসব সম্পর্কিতঃ পর্যটন আকর্ষণঃ

১. ষাঁড়ের লড়াইঃ
নেত্রকোনা জেলার ঐতিহাসিক ষাঁড়ের লড়াই প্রতিবছর সাধারনত ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে আয়োজন করা হয়ে থেকে। এতে দুর দুরান্ত থেকে লোকজন এসে ষাঁড়ের লড়াই উপভোগ করে। এটি ঐ অঞ্চলের লোকজ ঐতিহ্য।


ঘ) নৌ-পর্যটনঃ পর্যটন আকর্ষণঃ

১. সুমেশ্বরী নদীঃ
সুসং দুর্গাপুরের প্রধান আকর্ষণ সুমেশ্বরী নদী, বাদামী বালু ও কয়লা নদীর পানিতে ভেসে আসা ও অন্যদিকে সারি সারি পাহাড় সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

ঙ) প্রাকৃতিকঃ পর্যটন আকর্ষণঃ 

১. সুসং দুর্গাপুরঃ
এটি নেত্রকোনা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা শহর। গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সুসং দুর্গাপুর। সুসং দুর্গাপুরের প্রধান আকর্ষণ খুদে জনগোষ্ঠীর বসতি, পাহাড়ি নদী ও ছড়া, টিলা পর টিলা, রাণীখং খ্রিষ্টান
মিশন, কুমারখালির রাশমনির স্মৃতিসৌধ এবং বিজয়পুরের সীমান্ত চৌকিসহ গোলাপী অভার মাটির পাহাড়। সবচেয়ে আকর্ষণীয় আকাঁ বাঁকা নদী সোমেশ্বরী। সুসং দুর্গাপুরের আর একটি অন্যতম আকর্ষণ রাজবাড়ি। রাজবাড়িতে আছে প্রাচীন আমলের অট্টালিকা, হাতীশালা, জলসাঘর, অন্দর মহল, ঘোসলখানা, দীঘি ও মন্দির। আরও আছে রাজপাট, কমলারানীর দীঘি, মন্দির ও পাঠাগার। তাছাড়া তেভাগা ও টঙ্ক আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত স্মারক সৌধ এবং কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রথিকৃত কমরেড মনি সিংহের বসত বাড়ি।

২. বিজয়পুরঃ

দুর্গাপুর সদর থেকে রানীখং যেতে পথে পড়ে বিজয়পুর। বিজয়পুরের আকর্ষণ চীনামাটির পাহাড় ও কাঁচ বালি। কোনটি সাদা, আবার কোনটি গোলাপী অথবা নীল। কোথাও কোথাও আবার খাই-খন্দরও আছে। সেগুলোতে জমে থাকা পানির রং নীল। অবাক লাগে- পানি নীল কেন। আসলে ওগুলো চীনামাটি সংগ্রহকারীদেও খোঁড়ার্গত। চীনামাটির প্রভাবে পানি ঐ রং ধারণ করে। আর জোনাকজ্বলা গ্রামের আকর্ষণ একটি গুচ্ছগ্রাম।


৩.গারো পাহাড়ঃ
ভারতের পশ্চিম মেঘালয়ে গারো পাহাড়ের দক্ষিণমুখী সম্প্রসারিত পাহাড়শ্রেণী। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার উত্তর সীমান্ত অঞ্চল জুড়ে এটি পশ্চিম কুরি বিল থেকে পুবে ভোগাই নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। গারো পাহাড়ে
গারো, হাজং উপজাতিরা বসবাস করে। গারো পাহাড়ে গহীন অরণ্য, স্রোতস্বিনী ঝরণা, জলাশয়, গন্ডার, বাঘ, হাতি, বন্য মহিষ ইত্যাদি বাস করে। গারো পাহাড়ের মধ্যস্থল দিয়ে বৃহত্তম নদী সিমসং নদী প্রবাহিত। নদীর উভয় তীরে গারো উপজাতি গ্রাম বিস্তৃত। 

৪. সাদামাটিঃ
বাংলাদেশে গৃহস্থালী সামগ্রী হিসেবে চীনামাটির তৈরী তৈজষপত্রের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ১৯৫৭ সালে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার অন্তর্গত ভেদিকুরা নামক স্থানে প্রথম সাদামাটির সন্ধান লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৭৮, ১৯৮০ ও ১৯৮৩ সালে জি এস বি এ এলাকায় ব্যাপক অনুসন্ধান পরিচালনা করে। অনুসন্ধানে জানা যায়, পশ্চিমে ভেদিকুরা থেকে মাইজপাড়া এবং পূর্বে গোলাপপুর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ চীনামাটিকে বিজয়পুর চীনামাটি/সাদামাটি হিসেবে নামকরণ করা হয়। 
 

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon