ক) ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্বিক ও স্থাপত্য নির্দশনঃ
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনাঃ
১. সীতারাম রায়ের রাজবাড়ীর ধবংশাবশেষঃ
মাগুরা শহর থেকে ১৮ কিঃ মিঃ পূর্বদিকে মোহাম্মদপুর উপজেলা শহর। সরাসরি বাস চলে। বাস স্টপ থেকে উত্তর দিকে পায়ে হেটে সীতারাম রাজার বাড়ী। তবে এটা একটি মাঝারী আকারের দূর্গ। আয়তাকার ভূমি পরিকল্পনায় নির্মিত। চারদিকে মাটির প্রাচীর ও পরিখায় ঘেরা। ভেতর বাহিরে বিভিন্ন পরিমাপের অনেকগুলো দীঘি ও পুকুর রয়েছে। দুর্গের ভিতর অতীতে বহু স্থাপনা ছিল। বর্তমানে কেবল একটি প্রাসাদ, এটি দোলমঞ্চ, একটি কোষাগার, কয়েকটি মন্দির ও একটি দোতালা আরাম নিবাস ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় টিকে আছে। এগুলোর নির্মাতা রাজা সীতারাম নামের একজন স্থানীয় সামন্ত নরপতি। তিনি খ্রিঃ আঠারো শতকে মুর্শিদকুলি খাঁর নবাবী আমলে ঐ অঞ্চলে স্বাধীন ভাবে রাজত্ব করতেন। কিন্তু জীবনের শেষ দিকে নবাব বাহিনীর হাতে পরাজিত ও নিহত হলে তার রাজধানী মোহাম্মদপুরের পতন ঘটে।
২. রায়নগরের মঠঃ
মাগুরা শহর থেকে প্রায় ৭ মাইল পূর্বদিকে রায়নগর মঠ। রায়নগরের মঠটি ১৬১২ সালে তৈরী হয়েছিল। মঠের চারদিকে রয়েছে পরিত্যক্ত জমি।
খ) ধর্মীয়ঃ
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনাঃ
১. দশ ভূনা মন্দির (মাগুরা):
নারায়ন পুকুর সীতারামের প্রাসাদের পূর্বদিকে অবস্থিত এই বৃহৎ জলাশয়ের দক্ষিণপাড়ে দশভূজার মন্দির অবস্থিত ছিল। মন্দিরগাত্রে লিপি লিপিবদ্ধ ছিল তাতে ১৬২১ শতাব্দে নির্মিত। দশভূজা মন্দিরের কিছূ পূর্ব দিকে ছিল শ্রীকৃষ্ণের জোড়বাংলা মন্দির।
গ) নৌ-পর্যটনঃ
পর্যটন আকর্ষণের নাম ও বর্ণনাঃ
১. নব গঙ্গা নদীতে নৌ-বিহারঃ
নব গঙ্গা নদী তীরে বসে সময় কাটানো খুবই আনন্দদায়ক। মাগুরা শহরে নবগঙ্গা নদীর পাড়ে পার্ক ও ব্রিজ রয়েছে। ব্রিজ পেরিয়ে এপার থেকে ওপারে যেতে দারূণ আনন্দ। নবগঙ্গা নদীতে সকালে কি বিকেলে নৌ-বিহার করতে পারেন। নদীতে নৌকাতে বসে দু’কুলের দৃশ্য দেখে যে কি আনন্দ তা নৌকা ভ্রমণেই উপলব্ধি করা যায়। নদীতীরের বালুচরে নাম-না জানা পাখি ও লম্বা পা-ওয়ালা বকগুলো দেখে মুগ্ধ হবার মতো।